ইলিয়াস কাঞ্চন বাংলাদেশের পরিচিত এবং জনপ্রিয় মুখ। তিনি দীর্ঘ সময় ধরে বাংলাদেশের বিনোদন মাধ্যমে যুক্ত রয়েছেন। তিনি তরা অভিনয় জগতের ক্যারিয়ারে অভিনয় করেছেন অসংখ্য সিনেমায়। এবং তিনি তরা অভিনীত সিনেমা গুলোর মধ্যে দিয়ে অর্জন করেছেন ব্যপক সফলতা এবং সম্মাননা। বর্তমান সময়ে তিনি শিল্পী সমিতির নির্বাচনে অংশগ্রহন করেছেন। এবং এই বিষয়ে জানালেন বেশ কিছু কথা।
শিল্পী সমিতির সভাপতি প্রার্থী ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, আমি মন্ত্রী হতে চাই না। শিল্পীদের সাথে থাকতে চাই। এ কারণে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি। আমার প্যানেলে যারা তারা আমাকে নির্বাচনে অংশ নিতে উৎসাহ দিয়েছেন। ইলিয়াস কাঞ্চনের প্রার্থীতা অনেকটা অতিথি পাখির মতো বলে দাবি করেছেন বিরোধী প্যানেলের সহ-সভাপতি প্রার্থী (মিশা-জায়েদ) রুবেল। যারা অন্য সময় খুঁজছেন না। রোববার সন্ধ্যায় এফডিসিতে সাংবাদিকদের ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘নির্বাচনের জন্য আমাকে আনা হয়েছে। নিপুণ, রিয়াজ, ইমন, সাইমন সবাই চেয়েছিলেন আমি নির্বাচন করি। সাধারণ শিল্পীরাও চান আমি নির্বাচন করি। আর আমি যদি অন্যদের থেকে ভালো করতে পারি, তাহলে আমি কেন নির্বাচন করব না? ‘সেখানে যাবেন না কেন? ‘
তাদের উদ্দেশে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, “আমি কি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত? আমি একজন শিল্পী। একজন শিল্পী হিসেবে একজন মানুষ, শিল্পীর ভাই, বন্ধু। তাই আমি মন্ত্রী হতে চাই না। বিদায়ী কমিটির সভাপতি মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান দাবি করছেন, তারা ক্ষমতায় থাকাকালীন ১২ লাখ টাকা সমিতির ফান্ডে জমা রেখেছেন। এ প্রসঙ্গে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, এই টাকা পিকনিকের জন্য। ক/রো/না/র কারণে ২ বছর পিকনিক নেই। তাহলে টাকা জমা থাকাটাই স্বাভাবিক। এসব সহজ কথায় মিথ্যা বলা উচিত নয়। আমি যখন ছিলাম। ১৯৮৯ সালে সাধারণ সম্পাদকের কাছে ৩ লাখ টাকা রেখেছিলাম, তাহলে ৩ লাখ টাকা কত? তিনি বলেন, আমরা যদি পাস করি, তাহলে একটা নিয়ম করে দেব যে, একই পদে কেউ পরপর দুই মেয়াদের বেশি নির্বাচিত হতে পারবে না। এখানে নতুন নেতৃত্ব আসতে হবে। নতুনদের সুযোগ দিতে হবে। বছরের পর বছর কেউ একই পদে বারবার নির্বাচিত হতে পারবে না। আমি জিতলে অবশ্যই সবার সম্মতিতে এটা করব। ইলিয়াস কাঞ্চনের সঙ্গে প্যানেল করেছেন নিপুণ, রিয়াজ, ফেরদৌস, ইমন, সাইমন, নীরব, পরীমনির মতো তারকারা।
২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ শিল্পী সমিতির নির্বাচন। এই নির্বাচনে অনেক তারকারাই অংশগ্রহন করেছেন। এদের মধ্যে সিনিয়র শিল্পীরাও রয়েছেন। এবং বর্তমান সময়ে এই সমিতির সভাপতি এবং সাধারন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মিশা সওদাগর এবং জায়েদ খান। তারা দুজনেই রয়েছে এবারের নির্বাচনেও।