আমান উল্লাহ আমান হলেন বাংলাদেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপির একজন বর্ষিয়ান নেতা। তিনি সাবেক মন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পলান করেছিলেন। আমান উল্লাহ আমান দলের প্র্তি শ্রদ্ধাশীল থেকে অক্লান্তভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। দলের প্রতি তার অপরিসীম অবদানের জন্য এখনো তিনি খুব ভালো পদে অধিষ্ঠিত রয়েছেন। বর্তমানে আমান উল্লাহ আমান বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সম্প্রতি তিনি তার এক বক্তব্যে বলেছেন জীবন গেলেও শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে যাবেন না।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান বলেন, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের সময় নূর হোসেন, জিহাদ, মিলনের রক্তের বিনিময়ে এরশাদের পতন ঘটেছিল। এই নির্বাচনেও রক্তপাত হতে পারে, কিন্তু শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না, প্রাণ দিয়েও নয়।
শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ড. মোশাররফ ফাউন্ডেশন আয়োজিত গাজী মাজহারুল আনোয়ারের স্মরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আমান উল্লাহ আমান বলেন, আজ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে সাংস্কৃতিক জগতের নেতৃত্ব দেওয়ার কথা ছিল গাজী মাজহারুল আনোয়ারের। কিন্তু তিনি আমাদের মাঝে নেই।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, রাজ্যে গাজী মাজহারুল আনোয়ারের স্মরণসভা হওয়ার কথা থাকলেও এখন জাতিকে এমনভাবে বিভক্ত করা হয়েছে যে তা সম্ভব হয়নি। বিভাজন কখনো জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যায় না। বিএনপি মহাসচিব বলেন, গাজী মাজহারুল আনোয়ার আবার কবে আসবেন জানি না, তবে তিনি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। রবীন্দ্রনাথের গান যেমন মনে আছে, লালন শাহের গানও তেমনি মনে থাকবে।
গাজী মাজহারুল আনোয়ারের স্ত্রী জোহরা গাজী বলেন, আগুন নিয়েই বেঁচে আছি। প্রতিভার আগুনে জ্বলেছেন চিরকাল।
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. সেলিমা রহমান বলেন, গাজী মাজহারুল আনোয়ারের গান মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশবাসীকে অনুপ্রাণিত করেছিল। তার গান দেশের সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছে।
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ পরপর তিনবার নির্বাচিত হওয়া বিজয়ী ও ক্ষমতাসীন দল। দলটির প্রতিষ্ঠাতা হলেন বাংলাদেশের জাতির জনক বাংলা মায়ের বীর সন্তান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান। আর তারই সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা হলেন সোনার বাংলার প্রধানমন্ত্রী।