সম্প্রতি আলোচিত এই ঘটনাটি ঘটেছে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামে। যেখানে স্বামীকে বেঁ’ধে’ ‘রেখে স্ত্রীর সঙ্গে একাধিকবার ন্যা’ক্কা’র’জ’নক ঘটনা ঘটানোর অভিযোগ উঠে সোনাইছড়ি ইউপির ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য জাহেদ সুলতান চৌধুরী প্রকাশ রবিন মেম্বারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় আজ সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পরে তাকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।রবিন মেম্বার সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামের সুলতান আহমদ চৌধুরীর আব্দুল হালিম চৌধুরীর ছেলে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কেশবপুর এলাকায় ইনফিনিয়া লিমিটেড নামের একটি কারখানার এক নারী শ্রমিক (১৯) ও তার স্বামী গত শনিবার রাতে কাজে যাচ্ছিলেন। পথে ওই এলাকার ইউপি সদস্য (নম ওয়ার্ড) রবিন তাদের বাধা দেন। একপর্যায়ে আরও কয়েকজন সঙ্গীসহ ওই নারী শ্রমিকের স্বামীকে অন্য একটি ভাড়া বাসায় নিয়ে গিয়ে তাকে ‘মা’র”ধ’র করে বেঁধে ফেলে। ঘটনার সময় ভিকটিমের কাছে থাকা গহনাও লুট করে নিয়ে যায় রবিন।
একপর্যায়ে ওই নারী শ্রমিক ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে সাহায্য চাইলে সীতাকুণ্ড থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে রবিন ও দলবল পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পর নিহতের স্বামী বাদী হয়ে রোববার রাতে সীতাকুণ্ড থানায় মামলা করলে পুলিশ রবিনকে আটক করে। বিকাল ৩টার দিকে সীতাকুণ্ড থানার ওসি তোফায়েল আহমেদের নেতৃত্বে পুলিশ তাকে বড়ইধলা উপজেলার ২নং ছোটদারোগারহাট লালানগরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় আটক করে।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমেদ বলেন, ইউপি সদস্য হওয়ায় তিনি ওই নারীকে রক্ষা না করে নিজেই তাকে তুলে নিয়ে তার সঙ্গে অসামাজিক কাজ করেন। এটা খুবই নিন্দনীয় কাজ। এ ঘটনা শোনার পর তাকে গ্রেফতারের জন্য সোর্স নিয়োগ করি। একপর্যায়ে তার অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর তদন্ত কর্মকর্তা সজিব হোসেনের ফোর্স নিয়ে এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে তাকে আটক করি। তাকে আজ বিজ্ঞ আদালতে পাঠিয়েছি।
এদিকে রবিনের এমন কাণ্ডে রীতিমতো গোটা এলাকাজুড়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক শোরগোল। তাকে অবিলম্বে কঠোর শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন অনেকেই।