প্রথম দশকে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড হিসেবে খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যেভাবে বিশ্ব দরবারে খ্যাতি অর্জন করেছিল, দুঃখজনক হলেও এটা সত্যি যে, বিভিন্ন কারণে সেই মান এবং অগ্রগতির যে ধারা সেটাকে ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে না, এমন মন্তব্য করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি আরও বলেন, শতবর্ষের দোরগোড়ায় দাঁড়ানো আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর এই সময়ে এসে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার যে মান সেটা নিয়ে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে। আজ (বুধবার) অর্থাৎ ১ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেন।
ডা. দীপু মনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনার চিন্তা করতে হচ্ছে। এজন্য প্রয়োজন একাডেমিক মহাপরিকল্পনা। শিক্ষার গুনগত মানোন্নয়ন, শিক্ষার পরিবেশ উন্নয়ন এবং গবেষণার পরিধি সম্প্রসারণের লক্ষ্যে প্রথমবারের মতো পূর্ণাঙ্গ ভৌত মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, মৌলিক ও প্রায়োগিক গবেষণার ক্ষেত্র জোরদারের উদ্দেশ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ইন্ডাস্ট্রিগুলোর ও বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যায়েগুলোর সহযোগিতার ক্ষেত্র সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। মন্ত্রী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আমার আবদেন, ভৌত মহাপরিকল্পনার আগে একাডেমিক মহাপরিকল্পনা প্রয়োজন। তা প্রণয়ন করুন। এর পূর্ণতা দিতে বাস্তবায়িত হোক ভৌত মহাপরিকল্পনা। সরকারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে সর্বোচ্চ সহযোগিতা থাকবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে বর্তমান সময়ে এসে সরকারী এবং বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালের সংখ্যা অনেক যেখানে মেধাবী শিক্ষার্থীদের সংখ্যা অনেক। রয়েছে প্রকৌশল এবং প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কিন্তু এই সকল মেধাবীদের খুব স্বল্প সংখ্যক বিশ্ব দরবারে নিজেদের একটি স্থান করে নিতে পারে। এখন প্রশ্ন বাংলাদেশে যে বিষয় এবং সিলেবাসে পড়াশুনা করানো হচ্ছে সেটা কতটা সৃজনশীলতা সৃষ্টি করতে পারে নাকি তারা শুধুমাত্র চাকরি পাওয়ার দিকেই অধিক মনোযোগী। তবে এটাও স্বীকার করতে হবে, কিছু কিছু মেধাবীরা নতুন কিছু উদ্ভাবন করতে পারছে।