Saturday , November 23 2024
Breaking News
Home / opinion / ঢাকা শহরে অতি ধনীরা মৃত‍্যুর পর স্থায়ী কবর পাবে,বাকিরা পাবে না:তুষার

ঢাকা শহরে অতি ধনীরা মৃত‍্যুর পর স্থায়ী কবর পাবে,বাকিরা পাবে না:তুষার

রাজধানী ঢাকা যেন দিন দিন হয়ে উঠছে উচ্চবিত্তদের আখড়া। আর সেই আখড়াতে গরিবরা যেন হারিয়ে যাচ্ছে দিন দিন। যার আরো একটি প্রমান যায় রাজধানী ঢাকার কবরস্থান গুলোতে। সেখানে এখন স্থায়ী ভাবে কবর রাখতে হলে গুনতে হবে কোটি টাকা। এ নিয়ে এবার একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব আব্দুন নূর তুষার। পাঠকদের উদ্দেশ্যে তার সেই লেখনী তুলে ধরা হলো হুবহু:-

ঢাকা শহরে অতি ধনী ব‍্যক্তিরা মৃত‍্যুর পর স্থায়ী কবরের জমি কিনতে পারবেন। অন‍্যরা পারবেন না। এর ফলে যা ঘটবে সেটা হলো এই কবরগুলিতে দোয়া খায়ের করার জন‍্য বেতন দিয়ে লোক রাখতে হবে। কবরে থাকবেন কেবল ধনীরা। তাদের ছেলেমেয়েরা এই দেশে থাকবেন কমই।

সাধারণ মানুষ সেখানে যাবে না। অথচ আপনি জুরাইন বা আজিমপুর গেলে দেখবেন সেখানে অজানা মানুষ আপনার আত্মীয়র পাশের কবর জিয়ারত করেছে। দোয়া করেছে। এই দোয়া পাঠ সারাদিন চলতেই থাকে সেখানে। কারণ সেখানে সব শ্রেনীর মানুষ আছেন চিরনিদ্রায়।এই দোয়ার ভাগ সকলেই পায়।

মক্কা নগরীতে ও মদিনাতেও এমন বিভেদ নাই। সেখানে সকলে সমান সুযোগ পায় কবরের।

এই দেশে মুক্তিযুদ্ধের মধ‍্য দিয়ে বৈষম‍্য দুর করার কথা বলেছিলো। আজ জীবিতদের মধ‍্যে গুলশান ও যাত্রাবাড়ীর তফাত। মৃত গরীবদেরতো জায়গাই থাকবে না শহরের ভেতরে।

এখন কবরের জমিতেও ধনী গরীবের সুস্পষ্ট তফাত করছে। সমতা সৃষ্টির কথা বলে দেশ স্বাধীন হয়েছিলো। কবরেও সমতা নাই।

এখন কবরস্থানের পার্কিংয়ের জন‍্য জায়গা বেশি লাগবে। কারণ সহজেই বুঝতে পারছেন। রিকশা দিয়ে কবরস্থানে যাবার মানুষ থাকবে না।

এখন এই শহরে ভুট্টুর মতো জমিদাররা থাকবে। এ যেন দেশের ভেতরে আরেক দেশ।
নতুন লারকানা।

প্রসঙ্গত, আব্দুন নূর তুষার পেশায় একজন চিকিৎসক। তবে বাংলাদেশের নানা ধরনের সমসাময়িক সব বিষয় নিয়ে কথা বলে থাকেন প্রতিনিয়ত।আর এই কারনে তিনি বর্তমানে দেশের অনেক জনপ্রিয় একজন ব্যক্তিত্বে পরিনিত হয়েছে।

About Rasel Khalifa

Check Also

যে কারণে সেনাবাহিনীকে প্রস্তুতি নিতে বললেন সাংবাদিক ইলিয়াস

বিশিষ্ট সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন তার সাম্প্রতিক এক মন্তব্যে সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। বুধবার (২০ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *