গত কয়েক বছর আগেই ভালোবাসার টানে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে কুমিল্লার বাতাখালি গ্রামের দুবাই প্রবাসী মাকসুদের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন নাজমা। দাম্পত্য জীবন নিয়ে বেশ শুখেই কাটছিল তাদের সময়। ৭ বছর বয়সী এক কন্যা সন্তানও রয়েছে এই দম্পতির। কিন্তু এরই মধ্যে ঘটে গেল এক অপ্রত্যাশিত ঘটনা।
জানা যায়, দীর্ঘদিন পর দেশের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছিলেন মাকসুদ। কিন্তু ঢাকা বিমানবন্দরে নেমে বাসায় পৌঁছানোর আগেই ফাঁস দিয়ে আত্মহনন করেন তার স্ত্রী।
মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন একটি বাড়ি থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
জানা গেছে, নিহতের নাম নাজমা। তার বাড়ি খুলনার বাগেরহাটে। তিনি হিন্দু ছিলেন। লাকসাম পৌরসভার বাতাখালী গ্রামের দুবাই প্রবাসী মাকসুদের প্রেমে সে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে। তারপর তাদের বিয়ে হয়। মাত্র সাত বছরের মেয়েকে নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন একটি বাড়িতে ভাড়ায় থাকতেন তিনি।
মঙ্গলবার দুবাই থেকে দেশে ফিরছিলেন নাজমার স্বামী মাকসুদ। সকালে মাকসুদের একমাত্র মেয়ে মোহনাও স্বজনদের নিয়ে বিমানবন্দর থেকে তাকে বাসায় আনতে ঢাকায় যায়। সন্ধ্যা ৬টার দিকে মাকসুদ বিমানবন্দরে নামেন। এর কিছুক্ষণ পর তার স্ত্রী আ/ত্ম/হন/নে/র করেন। দুবাই থেকে স্বামী বাড়ি পৌঁছানোর আগেই স্ত্রীর আ/ত্মহ/ন/নে/র নিয়ে কৌতূহল দেখা দিয়েছে। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আ/ত্ম/হ/ন/নের কারণ জানা যায়নি।
এদিকে সংবাদ মাধ্যমকে এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে লাকসাম থানার ওসি মেজবাহ উদ্দিন ভূঁইয়া সংবাদ মাধ্যমকে জানান, কি কারনে নাজমা এমন পথ বেঁছে নিয়েছেন, এর সঠিক কারন এখনো জানা যায়নি। তবে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্টের পর বিস্তারিত জানা যাবে মনে করছেন তিনি।