ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) আওতাধীন ৭৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে কেউ বিয়ে করলে তাকে বিবাহ নিবন্ধন ফি (কর) দিতে হবে। প্রথম বিয়ে বা স্ত্রীর মৃত্যুর পরে আবার বিয়ের ক্ষেত্রে ১০০ টাকা, প্রথম স্ত্রীর জীবদ্দশায় যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে দ্বিতীয় বিয়ের ক্ষেত্রে ৫ হাজার টাকা, তৃতীয় বিয়ের ক্ষেত্রে ২০ হাজার টাকা এবং চতুর্থ বিয়ের ক্ষেত্রে ৫০ হাজার টাকা ‘‘বিবাহ নিবন্ধন কর’’ বাবদ করপোরেশনের রাজস্ব খাতে জমা দিতে হবে। তবে প্রথম স্ত্রী যদি মানসিক ভারসাম্যহীন অথবা বন্ধ্যা হন, তাহলে পরবর্তী বিয়ের ক্ষেত্রে ২০০ টাকা কর দিতে হবে। স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, ২০০৯-এর ৮২ নম্বর ধারার চতুর্থ তফসিলের ৮ নম্বর ক্রমিকে অর্পিত ক্ষমতাবলে এবং আদর্শ কর তফসিল ২০১৬-এর ১০ (৪)-এর ১৫২ নম্বর ক্রমিকে উল্লিখিত হারে এই কর আদায় করা হবে।
ডিএসসিসি জানায়, চলতি বছরের জানুয়ারিতে এজেন্সির ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডে স্ট্যান্ডার্ড ট্যাক্স সিডিউল অনুসরণ করে ২৮টি বিয়ে নিবন্ধিত হয়েছে। সিটি করপোরেশন থেকে রাজস্ব আদায় হয়েছে ২ হাজার ৮০০ টাকা। ঢাকা দক্ষিণ সিটির রাজস্ব বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, তাদের আওতাধীন ৭৫টি ওয়ার্ডে কেউ বিয়ে করলে এই কর কর্পোরেশনকে দিতে হবে। এ সংক্রান্ত নির্দিষ্ট ফর্ম ইতিমধ্যেই নিকাহ রেজিস্ট্রারের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। কাজী বিয়ে পড়ানোর সময় এই ফরম পূরণ করে ফি আদায় করবেন। পরে তিনি করপোরেশনের তহবিলে এই পরিমাণ ট্যাক্স জমা দেবেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি বলছে, কর্পোরেশনের আওতাধীন এলাকার বিয়ে নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় শৃঙ্খলা আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ফলস্বরূপ, বিবাহ নিবন্ধন সংক্রান্ত বিষয়গুলিকে স্ট্রিমলাইন এবং তথ্য সমৃদ্ধ করা হবে, সেইসাথে অন্যান্য সংস্থাগুলিকে প্রাসঙ্গিক তথ্য সরবরাহ করা এবং ভবিষ্যতে বিশেষ করে বিবাহবিচ্ছেদের ক্ষেত্রে ভিত্তি হিসাবে ব্যবহারের জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে৷
একই সঙ্গে কোম্পানির রাজস্ব আদায়ও বাড়বে। এটিও জানা যায় যে কর্পোরেশন ইতিমধ্যেই এটিকে অনলাইনে আনার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে, যদিও বর্তমানে এই প্রক্রিয়াটি ম্যানুয়ালি পরিচালিত হচ্ছে। এরপর মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস ও অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমেও বিবাহ নিবন্ধন কর পরিশোধ করা যাবে।