বিভিন্ন ধরনের আপত্তিকর মন্তব্যের কারণে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পদত্যাগ করা তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ড. মুরাদ হাসান বর্তমানে দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ৩ নম্বর টার্মিনালে অবস্থান করে সেখানেই আছেন, এমনটাই জানা গেছে। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মুরাদকে দুবাই বিমানবন্দরের অভিবাসন বিভাগ সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রবেশ করতে দেয়নি।
সাম্প্রতিক সময়ে আলোচনায় আসা এই সংসদ সদস্যের কোনো ইউএই (সংযুক্ত আরব আমিরাত) এর ভিসা নেই। সেই সঙ্গে বিমানবন্দরের অভিবাসন বিভাগ কানাডা থেকে ফেরৎ পাঠাবার কারণ জানতে চাইলে সঠিক কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেননি ড. মুরাদ হাসান।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, বাংলাদেশের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটে মুরাদকে দুবাই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ফেরত পাঠাতে পারেন বাংলাদেশে। ঠিক যেভাবে তিনি দেশ ছেড়েছিলেন, একইভাবে ফেরত পাঠানো হতে পারে তাকে। এর আগে ৭ ডিসেম্বর প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করার পর ৯ ডিসেম্বর রাতে এমিরেটসের একটি ফ্লাইটে কানাডার উদ্দেশ্য তিনি কূটনৈতিক পাসপোর্টে ঢাকা ত্যাগ করেন।
কানাডার বর্ডার সার্ভিস এজেন্সি মুরাদকে দেশটিতে ঢুকতে দেয়নি। তাকে টরন্টো পিয়ারসন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে থেকে তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। কানাডায় বসবাসরত মুরাদের ঘনিষ্ঠ একাধিক সূত্র ঘটনার সত্যতা নিশ্চত করলেও, কানাডার সরকারি কোন সূত্র থেকে এই বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।
সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে শুক্রবার দুপুর টা ৩১ মিনিটে টরন্টোর পিয়ারসন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন। এসময় কানাডা ইমিগ্রেশন এবং বর্ডার সার্ভিস এজেন্সির কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যান। দীর্ঘ সময় ধরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকটি সূত্রে জানা গিয়েছে যে, জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় তার নিকট বাংলাদেশে ঘটা সাম্প্রতিক ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। তাকে আরও জানানো হয়েছিল যে বিপুল সংখ্যক কানাডিয়ান তার কানাডায় প্রবেশে আপত্তি জানিয়ে সরকারের নিকট আবেদন করেছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রধানতম শহর দুবাইয়ে ঢোকার একমাত্র পথ রয়েছে এমপি মুরাদের, আর সেটা হলো- দুবাই বিমানবন্দর ইমিগ্রেশনে বাংলাদেশ দূতাবাস তার সেখানে ভ্রমন ভিসার জন্য অনুরোধ করার পর সেটা অনুমোদন করলেই বিতর্কিত এমপিকে বিমানবন্দর পার হতে দেওয়া হবে।