Monday , December 23 2024
Breaking News
Home / Countrywide / ঢাকার শাহীনবাগের ঘটনার বিষয়ে যা জানিয়েছে মার্কিন দূতাবাস

ঢাকার শাহীনবাগের ঘটনার বিষয়ে যা জানিয়েছে মার্কিন দূতাবাস

বাংলাদেশে বর্তমান সময়ে যে রাজনীতি শুরু হয়েছে সেটা মুলত: আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে। এদিকে বিএনপি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিবে না বলে জানিয়েছিল তবে কয়েকটি শর্ত রেখে। এদিকে বাংলাদেশের মানবাধিকার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মার্কিন দূতাবাসসহ বাংলাদেশে অবস্থিত বেশ কয়েকটি দূতাবাস। ঢাকার শাহীনবাগে একটি পরিবারের সদস্যদের সাথে সাক্ষাৎ করতে যান ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।

সেখানে পিটার হাসের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে মার্কিন দূতাবাস। রোববার ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র জেফ রিডেনর গণমাধ্যমকে এ বিবৃতি দেন।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নিরাপত্তাজনিত কারণে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে ১৪ ডিসেম্বর ‘‘মায়ের ডাক’’ সংগঠনের পূর্বনির্ধারিত অনুষ্ঠান ত্যাগ করতে হয়েছিল। অনুষ্ঠানটিতে প্রতিবাদকারীদের হস্তক্ষেপ করতে দেখা গিয়েছিল। তারা রাষ্ট্রদূত যে ভবনে অবস্থান করছিলেন সেখানে প্রবেশের চেষ্টা করেন। অন্য অন্য প্রতিবাদকারীরা রাষ্ট্রদূতের গাড়ি ঘিরে ধরেছিল।

বিবৃতিতে বলা হয়, দূতাবাস ঢাকায় বাংলাদেশ সরকার এবং ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসকে বিষয়টি অবহিত করেছে।

মানবাধিকারকে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে অভিহিত করে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, মার্কিন দূতাবাস মানবাধিকার ল”ঙ্ঘনের সব অভিযোগকে গুরুত্বের সঙ্গে নেয় এবং বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করে।

মার্কিন দূতাবাস আরও দাবি করেছে, গত কয়েক বছরে দূতাবাস ‘মায়ের কান্না’ নামের সংগঠনের পক্ষ থেকে কোনোরকম যোগাযোগ করা হয়নি।

রাষ্ট্রদূত হাস ‘মায়ের ডাক’ নামে একটি সংগঠনের আয়োজনে গত ১৪ ডিসেম্বর সকালে ঢাকার শাহিনবাগে নিখোঁজ বিএনপি নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমনের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি নিরাপত্তা জনিত কারণে তড়িঘড়ি করে সাক্ষাৎ শেষ করে এবং সেখান থেকে প্রস্থান করেন।

ওই দিন বিকেলে, তিনি জরুরি ভিত্তিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে দেখা করেন এবং ‘নিরাপত্তা সংক্রান্ত অনিশ্চয়তা’ নিয়ে তার অসন্তোষ প্রকাশ করেন, এমনটি সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন মন্ত্রী।

উল্লেখ্য, ‘মায়ের কান্না’ নামক সংগঠনটি প্রকৃতপক্ষে ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবরের ঘটনা নিয়ে বর্তমান রূপ দিলো কয়েকটি পরিবারের সদস্যরা। ঐ সময় অর্থাৎ দেশ স্বাধীন হ ওয়ার ৬ বছর পর বিদ্রোহ দমন করার নামে সহস্রাধিক বিমান বাহিনীর সদস্যদের গুম করে দেওয়া হয়। এই ঘটনার পর বর্তমান সময়ে ঐ সকল ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্য যারা তাদের নিয়ে গঠন করা হয় ‘মায়ের কান্না’ নামক একটি সংগঠন।

About bisso Jit

Check Also

ভারতের গণমাধ্যমে প্রতিবেদন ফাঁস, বন্দিদের ভারতে পাঠাতেন শেখ হাসিনা

ভারতের গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যেখানে বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *