ঢাকার পরিস্থিতি ভয়াবহ রকম খারাপ, যা জানা গেল

আজ (২০ জানুয়ারি) ঢাকার বায়ুমান চরমভাবে অবনতি হয়েছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি। বিশ্বের বায়ুদূষণের তালিকায় ঢাকার অবস্থান শীর্ষ পাঁচের মধ্যে। বায়ুদূষণ পরিমাপক সূচকে (একিউআই) ঢাকার স্কোর ৩০১, যা ‘দুর্যোগপূর্ণ’ বাতাসের নির্দেশনা দেয়।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার জানায়, ঢাকার দূষণের প্রধান কারণ বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা। এ দূষণ শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা, হৃদরোগ, এমনকি দীর্ঘমেয়াদে ক্যানসারের মতো গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, গৃহস্থালি ও পরিবেশগত বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে প্রতি বছর ৬৭ লাখ মানুষের মৃত্যু ঘটে। ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালের এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সৃষ্ট বায়ুদূষণ প্রতিবছর ৫২ লাখ মৃত্যুর কারণ।

বায়ুদূষণের বর্তমান অবস্থা:

  • ৫০-এর নিচে: বিশুদ্ধ বাতাস।
  • ৫১-১০০: সহনীয়।
  • ১০১-১৫০: সংবেদনশীল মানুষের জন্য অস্বাস্থ্যকর।
  • ১৫১-২০০: সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর।
  • ২০১-৩০০: অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর।
  • ৩০০+: দুর্যোগপূর্ণ।

ঢাকায় ইটভাটা, নির্মাণকাজ, এবং বর্জ্য পোড়ানো দূষণের প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় নাগরিকদের মাস্ক ব্যবহার এবং প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। এ ছাড়া নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, আশপাশে পানি ছিটানো, এবং ধোঁয়াযুক্ত যানবাহন নিয়ন্ত্রণের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বায়ুদূষণ রোধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ না করা হলে এই পরিস্থিতি দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। ২০২৩ সালের তুলনায় চলতি বছরের নভেম্বরে ঢাকার বায়ুমান আরও ১০ শতাংশ খারাপ হয়েছে। ডিসেম্বরে দূষণের মাত্রা ছিল সবচেয়ে বেশি।

বায়ুদূষণের এমন অবস্থা থেকে সুরক্ষিত থাকতে জনসাধারণকে আরও সচেতন হতে হবে এবং কর্তৃপক্ষকে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।