আগামি ১০ ডিসেম্বর (শনিবার) ঢাকায় বড় ধরনের সমাবেশ করার ঘোষনা দিয়েছে বিএনপি। বিএনপির তরফ থেকে বলা হয়েছে এই সমাবেশ হবে ২৫ লাখ মানুষের সমাবেশ। এই সমাবেশের মাধ্যমে দলটি চূড়ান্ত আন্দোলনে যেতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। তবে এই সমাবেশ নিয়েও নানা ধরনের মন্তব্য করছেন আ.লীগের নেতারা। ঢাকায় এই সমাবেশের মাধ্যমে দলটি রাজধানীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। সেজন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পাহারায় থাকবে বলে জানান তিনি।
বুধবার (২৩ নভেম্বর) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কেন নয়াপল্টনের সামনে সমাবেশ করতে চান? তারা বিশাল সমাবেশ করবে, কেউ বলছে ১০ লাখ আর কাল একটি টেলিভিশনে দেখলাম ২৫ লাখ লোকের সমাগম হবে। নয়াপল্টনের সামনে কোনো রকমে ৫০ হাজার মানুষ ধরে।
আর সমাবেশ করে কেন একটি প্রধান সড়ক বন্ধ করতে হবে? আমরা কি কোন প্রধান সড়ক বন্ধ করে সমাবেশ করে থাকি? অন্যান্য জায়গায় তারা যে সমাবেশ করেছে সেগুলো তো মাঠে করেছিল। তারা যেভাবে সমাবেশ করতে বলছে যে বিশাল মানুষ হবে, সেরকম মাঠ তো ঢাকায় নেই। সেই রকম সমাবেশ যদি তা করতে চায়, পূর্বাচল ছাড়া আর কোনো জায়গা দেখি না। আসলে পূর্বাচল ছাড়া ১০ লাখ, ২০ লাখ মানুষের কোনো জায়গা নেই।
তিনি বলেন, নয়াপল্টনের সামনে কেন তারা এটা করতে চায় তা বোঝা সহজ। তারা বিশৃংখলা সৃষ্টি করতে চায়, তারা ওই হেফাজতে ইসলাম যে ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চালিয়েছিল, সে ধরনের বিশৃঙ্খলা তারা সৃষ্টি করতে চায়। প্রয়োজনে তারা গাড়ি ভাংচুর, অগ্নিসং”যোগ ও জনগণের জানমালে হা”/মলা চালাতে চায়। দেশে বিশেষ পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য তারা এটা করতে চায়। বাংলাদেশের মানুষ, ঢাকা শহরের মানুষ তা হতে দেবে না। ১০ ডিসেম্বর আমাদের কর্মী, আমাদের নেতারা প্রতিটি ওয়ার্ডে সতর্ক পাহারায় থাকবে।
বিএনপি সুষ্ঠুভাবে সমাবেশ করলে তাতে বাধা দেবে না পুলিশ কিংবা আ.লীগের নেতাকর্মীরা, এমনটি জানান আ.লীগের বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতারা। এদিকে কয়েকটি সমাবেশে যোগ দেওয়া নেতাকর্মীরা হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে বলে দাবি করেছে ক্ষমতাসীন দল আ.লীগের নেতারা। এমনকি কয়েক জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরও করা হয়েছে।