গত ৩ জানুয়ারি ঘুমের ওষুধ খাইয়ে রুবিনা আক্তার (২২) নামে এক না’রী’র স’ঙ্গে ‘শা’রী’রি’ক স’ম্প’র্ক স্থাপন করার চেষ্টা করেন রহমত উল্লাহকে (২৯) এক ব্যক্তি। তবে পরে বিষয়টি টের পেয়ে ভু’ক্তভোগী ওই নারীরই ছেলে শিকার শুরু করলে বিষয়টি ধামা চাপা দিতে দু’জ’নকেই প্রা’ণে শে’ষ করে দেন রহমত উল্লাহ।
বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার সীমান্ত (ঝিরুন্দি) এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর আগে ঘটনাটি ঘটেছে গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কেওয়া পশ্চিমখণ্ড গ্রামে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই রাতে প্রতিবে’শী রং মিস্ত্রি রহমত ঘুমের ও’ষুধ খে’য়ে ওই ‘না’রী’র সঙ্গে দৈ’হি’ক মি’লনের চেষ্টা করে। রুবিনার শিশুপুত্র জিহাদ (৫) চিৎকার শুরু করলে রহমত তাকে শ্বাসরোধ করে শেষ করে। একপর্যায়ে ঘটনা ধামাচাপা দিতে রুবিনাকেও দুনিয়াকে থেকেও সরিয়ে দেয়। এরপর রহমত ঘরে তালা দিয়ে ‘লা”শ’ দুটি ফেলে পালিয়ে যায়। এ সময় রুবিনার মোবাইল ফোন নেয় রহমত। এরপর ৭ জানুয়ারি পুলিশ গিয়ে ‘লা”শ দুটি উদ্ধার করে।
শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শ্রীপুর থানায় সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান কালিয়াকৈর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আজমির হোসেন। তদন্তকারী উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমজাদ হোসেন জানান, নি”হ’তে’র মোবাইল ফোনটি গত ৪ ফেব্রুয়ারি গোপালগঞ্জ জেলা থেকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া মোবাইল ফোনে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রহমতের হদিস ও ”হ”’ত্যা”’কা’ণ্ড সম্পর্কে জানা যায়। পরে ৮ ফেব্রুয়ারি ভারতীয় দালালরা স্থানীয় দালালদের মাধ্যমে রহমতকে বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানা এলাকায় পৌঁছে দেয়।
এ সময়ে সংবাদ মাধ্যমকে তিনি আরো জানান, এরপর সেখানে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদে এই অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। তাকে আইনের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।