বাংলাদেশে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে দায়ের করা একাধিক মামলা নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গত কয়েকদিন ধরে তর্ক-বিতর্ক চলছে। ইউনূসকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করে মঙ্গলবার জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের এক বিবৃতিতে
বিবৃতি অনুযায়ী, ইউনূস গত এক দশক ধরে হয়রানির শিকার। তার বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘন ও দুর্নীতির অভিযোগে মামলা চলছে। যাতে তিনি গ্রেফতার হয়ে জেলে যাওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন। তবে মামলা করার অধিকার ইউনূসের আছে। কিন্তু রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ক্ষমতা থেকে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। তাই তার বিচার পাওয়ার ব্যাপারে আমরা উদ্বিগ্ন।
এর আগে বিশ্বের ১৬০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে একটি খোলা চিঠির মাধ্যমে অধ্যাপক ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান মামলা স্থগিত করার আহ্বান জানান। তার বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে বিবৃতি ও পাল্টা বিবৃতি দিয়েছেন একাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান।
প্রফেসর ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইনের মামলা রয়েছে, গ্রামীণ টেলিকমের ১৮ জন কর্মকর্তা ২০২৩ সালের আগস্টে ১৮টি মামলা দায়ের করেন। মামলায় দাবি করা হয়েছে তিনি শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করেননি। কোম্পানির লভ্যাংশের ৫ শতাংশ হিসেবে গ্রামীণ টেলিকম থেকে ২২ কোটি টাকা পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন শ্রমিকরা।
মামলার ১৮ বাদীর মধ্যে ১৭ জন অবসর নিয়েছেন এবং একজন এখনও গ্রামীণ টেলিকমে নিযুক্ত রয়েছেন। খোলা চিঠি পাঠানো ১৬০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে, সাবেক রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামা, প্রাক্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন এবং ১০৮ জন নোবেল বিজয়ী চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন। তার বিরুদ্ধে মামলার বিষয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূস কোনো বক্তব্য দেননি।
অর্থ আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিং মামলায় গ্রামীণ টেলিকম কর্মীদের আত্মসাতের অভিযোগে ড. ২০২৩ সালের মে মাসে মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন মামলা করে। আসামিদের বিরুদ্ধে শ্রমিকদের কাছ থেকে ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে।