ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী হলেন বাংলাদেশের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি একাধারে মুক্তিযোদ্ধা, চিকিৎসক এবং রাজনীতিবীদ। ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বাংলার মানুষের প্রতি আছে অসীম ভালোবাসা আর তাই তিনি সকল মানুষ যাতে করে চিকিৎসা পায় সেই লক্ষে প্রতিষ্ঠা করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। তথ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর কাছে কেনো তিনি খালেদা জিয়াকে নিয়ে কেন পূর্ণিমা রাতে পদ্মা সেতু দেখতে চান।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরীর কেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নিয়ে পূর্ণিমা রাতে পদ্মা সেতু দেখতে চান, তার এই ইচ্ছে কেন এই প্রশ্ন তুললেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। সোমবার (৪ জুলাই) সচিবালয়ে তথ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে মুজিববর্ষে বঙ্গবন্ধু বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আয়োজনে প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. শাহেনুর মিয়ার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. মকবুল হোসেন, বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক মো. নিজামূল কবীর।
গতকাল রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে পূর্ণিমা রাতে পদ্মা সেতু দেখতে যাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেছিলেন, ‘চিন্তা করেন, আপনার (প্রধানমন্ত্রী) গাড়ি সামনে, পরে খালেদা জিয়ার গাড়ি, আর তার পেছনে তিনজন মুক্তিযোদ্ধা দাঁড়ায়া থাকবে। আস্তে আস্তে যাব। এখনও সময় আছে, অন্যদিকে পয়সা খরচ না করে এক পূর্ণিমার রাতে চলেন না যাই! এইটাই হবে বাংলাদেশ। তার আগে মুক্তি দিতে হবে… এনাদেরও (আলেম) নিয়ে যাই। ’
জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সেই আহ্বানের প্রেক্ষিতে তথ্যমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেছেন। পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে আজ টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনে গিয়েছেন তিনি। তার পূর্ণিমা রাতে যাওয়ার দরকার নাই। যদি খালেদা জিয়া রাজি হন তাহলে জাফরুল্লাহ সাহেব পূর্ণিমা রাতে যেতে পারেন।
হাছান মাহমুদ আরও বলেন, খালেদা জিয়া রাজি হবেন কিনা জানি না। যদি খালেদা জিয়া রাজি হন তাহলে যেতে পারেন তিনি। কিন্তু হঠাৎ পূর্ণিমা রাতে কেন যেতে চান সেটা একটা প্রশ্ন। অন্য সময় নয় হঠাৎ পূর্ণিমা রাতে খালেদা জিয়াকে সেখানে নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা হলো কেন সেটি একটি প্রশ্ন।
প্রসঙ্গত, ড. হাসান মাহমুদ হলেন গণপ্রজাতন্ত্রী সরকারের মাননীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী। তিনি এই সম্মানীয় পদে অধিষ্ঠিত হবার পর থেকে সততা ও নিষ্ঠার সহিত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তিনি দায়িত্ব নেবার পর থেকে তথ্য ও সম্প্রচার ক্ষেত্রে অনেক উন্নয়ন এসেছে।