Thursday , November 14 2024
Breaking News
Home / Countrywide / ড. কামাল হোসেনকে নিয়ে মোশাররফ হোসেন এমন মন্তব্য করবেন সেটা কেউ ভাবতেও পারেনি

ড. কামাল হোসেনকে নিয়ে মোশাররফ হোসেন এমন মন্তব্য করবেন সেটা কেউ ভাবতেও পারেনি

খন্দকার মোশাররফ হোসেন বাংলাদেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপির একজন প্রখ্যাত রাজনীতিবীদ। তিনি কুমিল্লা-৪ আসন থেকে পর পর ৪ বার সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি দলে থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। সম্প্রতি খন্দকার মোশাররফ হোসেন তার এক বক্তব্যে বলেছেন ‘ড. কামালকে ইমাম মেনে আমাদের চিন্তাভাবনা ধূলিসাৎ হয়ে গেছে’।

২০১৮ সালে, পাবলিক ফোরামের প্রধান ড. কামাল হোসেন নির্বাচনে না আসায় বিএনপির ভবিষ্যৎ চিন্তা ধূলিসাৎ হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

‘সরকার কেন ইভিএমের মাধ্যমে নির্বাচন করতে চায়?’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বুধবার (৩ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে। সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ যুব ফোরাম।

খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, “বিএনপির মতো জনপ্রিয় দল ড. কামাল হোসেনকে আমাদের ইমাম বানিয়েছিলাম। কিন্তু নির্বাচন ঘোষণার পর তিনি বলেছেন, নির্বাচন করবেন না। নির্বাচন করবেন না, যে রূপরেখা নিয়ে আমরা কাজ করেছি। এই ফ্রন্টে তৈরি করা এত কঠিন, সেই রূপরেখা, আমাদের সমস্ত ভবিষ্যত চিন্তা সেদিন ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছিল, ফলস্বরূপ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের মতো একটি দলকে এই ফ্যাসিবাদ সরকার ৫টি নয়, ৬টি আসন দিয়ে বিদায় করেছিল।

তিনি বলেন, এ কারণে বিএনপি এখন সব দলের সঙ্গে আলোচনা করে এমন কিছু করতে চায় যাতে বাংলাদেশের জন্য এমন বিপর্যয় আর না ঘটে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, “অন্যান্য সরকারবিরোধী দলের সঙ্গে আমরা আলোচনা করছি। তাদের ফিডব্যাক দিয়ে এটাকে সমৃদ্ধ করতে চাই। সে কারণেই রূপরেখা জনগণের সামনে আসেনি। আজও আমাদের মহাসচিব একটি দলের সঙ্গে আলোচনা করছেন। এই আলোচনা শেষে অবশ্যই আমরা দেশে একটি মঞ্চ তৈরি করতে পারি, নাকি যুগপৎ আন্দোলন করতে পারি, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।সবার মতামতে একটি রূপরেখা তৈরি করা হবে।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, “আমরা বলেছি, এই সরকারের অধীনে আমরা নির্বাচনে যাব না। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই সরকার আগামী ২৩ সালের নির্বাচনে যেতে পারবে না।

গোলটেবিল বৈঠকে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ঐক্য দরকার, তবে বিলম্ব হলে বিএনপি তাদের মতো এগিয়ে যাবে। সিদ্ধান্তে কোনো ভুল থাকা উচিত নয়। আমি চাই না বিএনপি পরাজিত হোক। কারণ, আমি মনে করি, বিএনপির পরাজয় মানেই আমার পরাজয়। তবে বিএনপির বিজয় মানে আমার বিজয় নয়। তুমি কথা বললে আমি শুনি। কারণ আপনার এটি প্রয়োজন হবে। কিন্তু আপনার বক্তব্য সম্পূর্ণ আমার নয়।

মান্না আরও বলেন, ‘আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশ পরিবর্তনের জন্য লড়াই করতে চাই। একটি কর্মসূচি ঘোষণা করা উচিত যা অনুসরণ করা যেতে পারে। রাজপথ দখলের ঘোষণা মানেই সরকারকে অচল করার আন্দোলন, সরকারকে উৎখাত করার। আমি মনে করি, যারা এই সমাজের পরিবর্তন চান, গণতন্ত্র চান- তারা সবাই এই আন্দোলনের সঙ্গে থাকবেন।

বৈঠকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও সংসদ সদস্য হারুন-অর-রশিদ বলেন, বিএনপির শীর্ষ নেতাদের নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব দেওয়া হলে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে আমি বলছি। দায়িত্ব- সেই নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারবে না। তাই আমাদের নির্বাচন কমিশন নিয়েও কোনো আলোচনা নেই। আমি ইভিএম নিয়েও আলোচনা করতে চাই না। শেখ হাসিনা ভোট ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছেন। এটা পুনরুদ্ধার করতে হলে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা আনতে হবে।

সংগঠনের উপদেষ্টা সৈয়দ আহমেদ আসলামের সভাপতিত্বে ও সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমানের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমতুল্লাহ, বিলকিস ইসলাম, আনোয়ার হোসেন বুলু প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, ড. কামাল হোসেন বাংলাদেশের সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা হিসেবে পরিচিত এবং এছাড়াও তিনি পাবলিক ফোরামের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ড. কামাল হোসেন অপরিসীম অবদান রেখেছিলেন।

About Shafique Hasan

Check Also

উপদেষ্টা পরিষদেই বৈষম্য

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আঞ্চলিক বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। ২৪ সদস্যের এই পরিষদে ১৩ জনই চট্টগ্রাম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *