ড. কামাল ( Dr. Kamal ) বাংলাদেশের ( Bangladesh ) একজন মুক্তিযোদ্ধা, রাজনীতিবীদ এবং আইনজীবি। তিনি বাংলাদেশের ( Bangladesh ) একজন সম্মানিত নাগরিক। তার কাছ বাংলার মানুষের জানার অনেক কিছু আছে। প্রত্যেকটি দেশেরই সংবিধান থাকে। বাংলাদেশের ( Bangladesh )ও আছে সংবিধান আর সেই সংবিধানের প্রনেতাদের মধ্যে ড. কামাল ( Dr. Kamal ) হলেন অন্যতম। সম্প্রতি জানা গেল তিনি আপিলেট ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রিট করেছেন।
কামাল হোসেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ৬ কোটি ৯ লাখ ৮৫ হাজার ৩৫১ টাকা কর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আপিল ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রিট আবেদন করেছেন আইনজীবী।
হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দায়ের করা হয়। বিচারপতি সৈয়দ রিফাত আহমেদ ও বিচারপতি মোহাম্মদ মাহবুব-উল-ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ শুনানির জন্য রোববারের কার্যতালিকায় এটিকে দুই নম্বরে রাখে।
রিটের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ড. কামাল হোসেনের জুনিয়র আইনজীবী তানিম হোসেন শাওন। তিনি বলেন, আপিল ট্রাইব্যুনাল বরখাস্তের বিরুদ্ধে আমি হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছি। রিট শুনানির জন্য তালিকায় রয়েছে।
রিট সূত্রে জানা যায়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ড. কামাল হোসেন ১ কোটি ৪ লাখ ৩ হাজার ৪৯৫ টাকা আয় দেখিয়ে রিটার্ন দাখিল করেন। কিন্তু এনবিআর ২০ কোটি ১১ লাখ ৪ হাজার ২১৯ টাকার সম্পদ দেখিয়ে ৬ কোটি ৯ লাখ ৮৫ হাজা ৩১৫ টাকা ট্যাক্স এবং সুদ ৮৭ লাখ ৩৫ হাজার ৬৩৪ টাকা দাবি করে।
রাজস্ব বোর্ডের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল করেন ড. কামাল হোসেন। ট্রাইব্যুনাল তার আপিল খারিজ করে দেয়। এরপর তিনি ওই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করেন।
২০১৮ সালের ১৯ নভেম্বর ড. কামালের আয়কর রিটার্নের বিষয়ে জানতে এনবিআরকে চিঠি দিয়েছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
চিঠিতে বলা হয়, ঢাকা ৮ নম্বর কর অঞ্চলের করদাতা মো. কামাল হোসেন। বিভিন্ন কর বছরে, তিনি স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের মতিঝিল শাখায় দুটি, সিটি সেন্টারে (একটি বৈদেশিক মুদ্রা অ্যাকাউন্ট সহ) এবং IFIC ব্যাংকে একটি সহ মোট পাঁচটি অ্যাকাউন্টে জমার উপর কর দিয়েছেন। তবে কর গোয়েন্দারা ওই আইনজীবীর নামে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুঁজে পেয়েছেন যাতে তিনি জমা করা টাকার ওপর কোনো কর দেননি। এমনকি এনবিআরকেও ওই অ্যাকাউন্টের কোনো তথ্য দেননি তিনি।
ওইসব সম্পদ গোপন করে কর ফাঁকির দায়ে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
প্রসঙ্গত, সময় মতো ট্যাক্স দেওয়া দেশের মানুষের একান্ত দায়িত্ব ও কর্তব্য। দেশের উন্নয়নে ট্যাক্সের অর্থ কাজে লাগানো হয়। ট্যাক্স ফাঁকি দিলে দেশের উন্নয়নের কাজ অনেকটা পিছিয়ে যায়। যার যার সামর্থ্যের মধ্যে রেখে ট্যাক্স পরিশোধ করে দেশের উন্নয়নে এগিয়ে আসতে হবে আর তাহলেই দেশ এগিয়ে যাবে উন্নয়নশীল দেশের দিকে।