শ্রম আদালতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাক্ষ্য নিয়ে উভয় পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের কারণে বিচারক আদালত ত্যাগ করেন।
বুধবার (১০ অক্টোবর) শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ড. ইউনূসের ৭ম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল। এদিন ড. ইউনূসের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন ও কলকারখানা অধিদপ্তরের আইনজীবীর মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এ সময় বিচারক কার্যক্রম পরিচালনা না করেই আদালত কক্ষ ত্যাগ করেন।
এর আগে, ৫ অক্টোবর সকাল সাড়ে নয়টার দিকে আইনজীবী ও ইউনুসসহ গ্রামীণ টেলিকমের দুই কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কার্যালয়ে হাজির হন।
মানি লন্ডারিং মামলার বিষয়ে ওই দিন দুদক কার্যালয়ে হাজিরা দিয়ে ড. ইউনূসের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, গ্রামীণ টেলিকম একটি সামাজিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এর মাধ্যমে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং শিল্প-কলকারখানা গড়ে তোলে বেকারত্ব দূর করা। এটাই স্যারের (ড. ইউনূস) থিওরি অনুযায়ী মূল্য উদ্দেশ্য। এতে বলা আছে, কেউ কোনো মুনাফা নেবে না, এই মুনাফা সমাজের উন্নয়নের জন্য ধারাবাহিকভাবে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হবে এবং বেকারত্ব দূর করা হবে।
আইনজীবী আরও বলেন, সারা বিশ্ব তার (ড. ইউনূস) উদাহরণ গ্রহণ করেছে, আমেরিকাসহ পুরো ইউরোপ। কোম্পানি আইনের ধারা ২৮ অনুযায়ী যারা সমাজের কল্যাণে কাজ করবে তাদের মুনাফা দেওয়া নিষিদ্ধ। এই কারণে, গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানি আইনের এই ধারায় একটি শীর্ষ প্রতিষ্ঠান। এর মুনাফা দেয়া নিষিদ্ধ। এই কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি আইনে। আর লেবার কোর্টের দায়িত্ব হচ্ছে, এই কোম্পানিতে যেসব শ্রমিকরা কাজ করবেন তাদের অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা দেখভাল করা।
এর আগে গত ২৭ সেপ্টেম্বর মানি লন্ডারিং মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদকের উপ-পরিচালক মো. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনকে তলব করেছিলো দুদক।
চলতি বছরের ৩০ মে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে দুদক মামলা করেন ।