গ্রামীণ ব্যাংকের প্র/তিষ্ঠাতা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় কার্যক্রম স্থগিত করতে বিশ্বনেতাদের পাঠানো চিঠি বাংলাদেশের বিচার বিভাগের ওপর সরাসরি হস্তক্ষেপ বলে দাবি করেছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টের অ্যানেক্স ভবনের সামনে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। এদিকে ইউনূসের মামলা নিয়ে বিশ্বনেতাদের বক্তব্যে বিস্ময় প্রকাশ করে তিনি বলেন, বিশ্বনেতারা বাংলাদেশের আইন ও বিচার বিভাগ না জেনে বিচার বিভাগে হস্তক্ষেপ করছেন। তারা আ/দালতে ইউনূসের মামলা নিয়ে এত হইচই কেন আমি বুঝতে পারছি না।
বাংলাদেশের বিচার বিভাগ সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা না রাখার অনুরোধ জানিয়ে খুরশীদ আলম খান বিশ্বনেতাদের বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানান। বলেন, বাংলাদেশে আসুন দেখুন কতটা স্বচ্ছভাবে ইউনূসের মামলার বিচার চলছে। ড. ইউনূসের কথায় বাংলাদেশের বিচার বিভাগ সম্পর্কে খারাপ ধারণা করবেন না।
এর আগে মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত এবং বাংলাদেশে আসন্ন সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ১৭৫টি বিশ্ব নেতা একটি খোলা চিঠি লিখেছেন। সোমবার (২৮ আগস্ট) প্রকাশিত ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, “আমরা তাকে (ড. ইউনুস) সাম্প্রতিক টার্গেট করায় উদ্বিগ্ন এবং বিশ্বাস করি এটি বিচারিক হয়রানির একটি অব্যাহত প্রক্রিয়া।”
এর আগে গত রোববার (২৭ আগস্ট) ড. মুহাম্মদ ইউনূসের চিকিৎসা নিয়ে সরকারের উদ্বেগ জানিয়ে গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠিয়ে দেশের ৩৪ জন বিশিষ্ট নাগরিক একই দিনে ইউনূস সেন্টার সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে। যদিও ওবামার বিবৃতিটি ১৭ আগস্ট উল্লেখ করা হয়েছিল, ইউনূস সেন্টার দশ দিন পরে এটি প্রকাশ করে। অনেকে বলছেন, বিচার প্রক্রিয়াকে পরোক্ষভাবে প্রভাবিত করার লক্ষ্যেই ইউনূস সেন্টার এ কাজ করেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, অধ্যাপক ইউনূসের নোবেল পুরস্কার এবং মার্কিন সরকারের সর্বোচ্চ সম্মান তুলে ধরে দেশি-বিদেশি নাগরিকরা বলার চেষ্টা করছেন যে অধ্যাপক ইউনূস যা করছেন তা বিচারের বাইরে। কিন্তু বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব আইনে আইন সব নাগরিকের জন্য সমান- এটা ইচ্ছাকৃতভাবে ভুলে গিয়ে শুধু বন্ধুত্ব রক্ষার জন্য ইউনূসের পক্ষে অন্যায় মীমাংসা দিতে চাইছে।