বাংলাদেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্য একজন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দেশে শুধু নয় আন্তজার্তিক ভাবে খ্যাতি পাওয়া ব্যক্তি মধ্যেও তার নাম রয়েছে। বিভিন্ন অবদানের কারনে তিনি আজ পৃথিবী খ্যাতি ব্যক্তির সারিতে এসেছে। তবে তার প্রতিষ্ঠান গ্রামীন টেলিকমে কর্মীদের আইন লঙ্ঘন করে ছাটাইয়ের কারনে তাকে সহ চার নামের মামলা হয়। দ্রত মামলার নিষ্পত্তির প্রসঙ্গে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আবেদন সম্পর্কে যা জানাগেল।
শান্তিতে নোবেলজয়ী ও গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে করা মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্টে আবেদন করেছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি চেয়ে বুধবার (২০ জুলাই) এ আবেদন করা হয়। বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি জাহিদ সরওয়ার কাজলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে মন্ত্রণালয়ের পক্ষে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এ আবেদন করেন।
উল্লেখ্য, গত ১৩ জুন শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতে মামলার কার্যক্রম দুই মাসের জন্য স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। আদেশে এ সময়ের মধ্যে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা কেন খারিজ করা হবে না- এ মর্মে জারি করা রুল নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন।
২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বর শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে করা মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন হাইকোর্ট। আদেশে মামলা কেন বাতিল করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। পরে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর, ঢাকার কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তর গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে এ মামলা করেন। পরে আদালত আসামিদের আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের এমডি আশরাফুল হাসান, পরিচালক নূরজাহান বেগম ও শাহজাহান। এই তিন আসামি পৃথকভাবে মামলার আবেদন করেন।
জানা যায়, অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ড. ইউনূসের গ্রামীণ টেলিকম পরিদর্শনে যান। সেখানে গিয়ে তারা শ্রম আইনের কিছু লঙ্ঘন দেখতে পান। এর মধ্যে ১০১ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে স্থায়ী করার কথা থাকলেও তাদের স্থায়ী করা হয়নি। শ্রমিকদের অংশগ্রহণের তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি। এ ছাড়া কোম্পানির লভ্যাংশের ৫ শতাংশ শ্রমিকদের দেওয়ার কথা থাকলেও তা তাদের দেওয়া হয়নি। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে এ মামলা করা হয়।
উল্লেখ্য, মামলাটির দ্রত নিষ্পত্তি জন্য আবেদন করা হয় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় পক্ষ থেকে। দুই মাস মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ তার পরিপ্রেক্ষিতে এ আবদন করা হয়েছে।