ড. ইউনূসের মামলায় খুরশিদ আলমকে কলকারখানা ও সংস্থাপন অধিদপ্তরের প্রধান ও একমাত্র আইনজীবী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে দেশের একটি জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমকে তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় কারখানা ও পরিদর্শন পরিচালকের পক্ষে লড়ার জন্য ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ড. হায়দার আলীকে নিয়োগ দেওয়া হয়। এ অবস্থায় সরকার কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত আইনজীবী খুরশীদ আলম ড. ইউনূসের মামলা লড়বেন না বলে জানান তিনি।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
খুরশীদ আলম বলেন, “সরকারি চাপ ছাড়াই এ পর্যন্ত মামলা পরিচালনা করেছি। এই মুহূর্তে অবশ্য সরকার পক্ষ থেকে আরও একজনকে দেওয়া হচ্ছে; তবে এ মামলা থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়াই ভালো।
তিনি দাবি করেন, দুই আইনজীবী এক মামলা লড়লে সেটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
তবে কারখানা ও পরিদর্শন বিভাগের পক্ষে নবনিযুক্ত ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর হায়দার আলী বলেন, দুই আইনজীবী একসঙ্গে কাজ করলে মামলা পরিচালনা করা সহজ হবে।
শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ না করায় আরও ১৮টি মামলা হয়েছে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে। গত ২৮ আগস্ট গ্রামীণ টেলিকমের ১৮ জন শ্রমিক বাদী হয়ে ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে পৃথক মামলা করেন। গত ১৫ ও ১৬ অক্টোবর এই আদালতের চেয়ারম্যান (জেলা ও দায়রা জজ) বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা মামলাগুলো গ্রহণ করেন। ইউনূসকে আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা দিতে বা জবাব দিতে নির্দেশ দেন।
আদালত সূত্র জানায়, শ্রম আইন ২০০৬ এর ২১৩ ধারা লঙ্ঘন করে মোট ২১ কোটি ৪১ লাখ ১৭ হাজার ১৬৩ টাকা পরিশোধ না করায় বাদীরা এসব মামলা করেন। এসব মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের ১৭ সাবেক ও একজন বর্তমান কর্মী বাদী। জানা গেছে, কোম্পানির নিয়ম অনুযায়ী লভ্যাংশের ৫ শতাংশ না দেওয়ায় এসব মামলা করা হয়।
গত ৬ জুন একটি মামলায় একই আদালত ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন ওই মামলায় অভিযোগের পর ইউনূসের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে।
এর আগে, ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে এ মামলা করেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান। সেই মামলাও বিচারাধীন।