তহবিলে টাকা নেই দাবি করে কর অব্যাহতি চেয়েছিলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ কারণে তিনি আইনের আশ্রয় নেন। কিন্তু আদালতের নির্দেশে তিনি এখন কোটি কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিচ্ছেন।প্রশ্ন উঠেছে অধ্যাপক ইউনূসের এত টাকা কোন থলেতে ছিল?
আদালতের তথ্য বলছে, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত ১৬৮টি মামলা হয়েছে। শ্রম আইনলঙ্ঘন, আত্মসাতের দুটি মামলা বাদে বাকি সবগুলোই আয়কর ও কর ফাঁকির সাথে সম্পর্কিত।
গত বছরের ২৫ জুলাই বকেয়া দানকর হিসেবে নোবেলজয়ী ইউনূস কোষাগারে জমা দেন ১২ কোটি ৪৬ লাখ ৭২ হাজার টাকা। তিনি সাউথইস্ট ব্যাংকে পে-অর্ডারের মাধ্যমে এই অর্থ পরিশোধ করেন।
রোববার (১০ মার্চ) তিনি ২০১১ থেকে ২০১৩ সালের কর বছরের জন্য রাষ্ট্রীয় কোষাগারে আরও ৫৪ কোটি টাকা জমা দেন। তবে আপিলের আইনি সুবিধা পেতে ইউনূসের গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্ট পল্লবীরের রূপালী ব্যাংক শাখায় টাকা জমা দেন।
এছাড়া গত বৃহস্পতিবার ৭টি আয়কর রেফারেন্স মামলায় ডা. মুহাম্মদ ইউনূসকে ১১৯ কোটি টাকা পরিশোধের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ইউনূসের প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ কল্যাণ ইনস্টিটিউটকে ছয়টি আর্থিক বছরের জন্য এই আয়কর দিতে হয়।
এদিকে তথ্য বলছে, ১৯৯৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে গ্রামীণ ব্যাংকের বিরুদ্ধে নতুন প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ কল্যাণে ১০০ মিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগ ওঠে। এ সময় দাতা দেশগুলো ইউনূসকে টাকা ফেরত দিতে চাপ দেয়। চাপের মুখে প্রফেসর গ্রামীণ ব্যাংকে ৩০ মিলিয়ন ডলার স্থানান্তর করেন।
এরপর ইউনুস বলেন, ভবিষ্যতে কর না দিয়ে টাকা পল্লী কল্যাণে স্থানান্তর করেছেন। আইনি ফাঁক মেটাতে না পেরে শেষ পর্যন্ত তাকে একের পর এক কর দিতে হয়।