যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রেস ব্রিফিংয়ে আবারও উঠে আসে বাংলাদেশের প্রসঙ্গ। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে মুহাম্মদ ইউনূস ইস্যুতে আলোচনা করেন নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী ড. এর আগে তার মামলার বিষয়টি আলোচিত হলেও এখন পল্লী কল্যাণ দপ্তর দখল নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এদিন এক সাংবাদিক জানতে চাইলেন, সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে খবরে বলা হয়, অজ্ঞাত ২০ জনের একটি দল নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কার্যালয় দখলের চেষ্টা করেছে। আপনারা জানেন, বাংলাদেশের বর্তমান সরকার একতরফাভাবে সংসদ, বিচার বিভাগ ও গণমাধ্যমের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। এখন গ্রামীণের মতো প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি কী?’
জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে দায়ের করা একাধিক ফৌজদারি মামলার বিষয়ে আমি বলব- আমরা লক্ষ্য করেছি যে শ্রম মামলাটি অস্বাভাবিক গতিতে বিচার করা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন আরও মামলায় চার্জশিট অনুমোদন করেছে, বিশ্বজুড়ে ব্যাপক নিন্দা করেছে।
উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে একমত। ইউনূসকে হয়রানি করার জন্য শ্রম আইনের অপব্যবহার করা হতে পারে ড. এতে বাংলাদেশের আইনের শাসন নিয়েও প্রশ্ন উঠতে পারে। বিদেশী বিনিয়োগ ব্যাহত হতে পারে।
এ সময় তিনি আরও বলেন, আমরা বাংলাদেশ সরকারের ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলার বিচার ও আপিলের ক্ষেত্রে সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।