কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ইংরেজি বিভাগের ছাত্রী আবু সাঈদের বাসায় গিয়েছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানে তিনি আবু সাঈদের কবর জিয়ারত শেষে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন।
এসময় ড. ইউনূসকে কাছে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন। অশ্রুসজল ছিলেন আবু সাঈদের মা এবং পরিবারের অন্য সদস্যরাও।
এর আগে শনিবার (১০ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে পীরগঞ্জের জাফরপাড়া বাবনপুর গ্রামে পৌঁছান ডা. ইউনুস।
এদিকে শুক্রবার (৯ আগস্ট) থেকে ইউনূসের আগমনকে ঘিরে এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সেখানে সেনাবাহিনী ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান করছেন। তবে পুলিশের উপস্থিতি দেখা যায়নি।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ জুলাই দুপুর আড়াইটার দিকে কোটা সংস্কারের দাবিতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের সড়কে পুলিশের সঙ্গে ছাত্রলীগের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের দ্বাদশ ব্যাচের ছাত্র ও বৈষম্য বিরোধী কোটা আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবু সাঈদ।
নিহত আবু সাঈদ রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার মদনখালী ইউনিয়নের বাবনপুরে গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে। নয় ভাই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার ছোট।