গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান একেএম সাইফুল মজিদ বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস মানি লন্ডারিং করেছেন- এমন প্রমাণ হাতে রয়েছে। গ্রামীণ টেলিকম, গ্রামীণ কল্যাণ, গ্রামীণ ফান্ড- তৈরির সময় তিনি গ্রামীণ ব্যাংক থেকে শত শত কোটি টাকা সরিয়েছেন। গত সাত মাসে একটি অডিট করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
শনিবার রাজধানীর মিরপুরে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে সাইফুল মজিদ বলেন, এখানে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করছি। গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠানগুলো দখল না করে বদলে নি/য়ন্ত্রণ নেওয়া হচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠান লাভজনক নয়। লক্ষ্য কল্যাণকর। সরকার বা গ্রামীণ ব্যাংকের অনুমতি ছাড়াই এসব প্রতিষ্ঠানের মালিকানা দাবি করাটা ইউনূসের জন্য বেমানান। কারণ, তিনি কোনো শেয়ার কেনেননি। তখন আর মালিক হওয়ার সুযোগ নেই। গ্রামীণ টেলিকম ক্রয়ের টাকা গ্রামীণ ফোনের নামে বরাদ্দ। গ্রাহকরা এর লভ্যাংশ পাবেন। আজ দেরী হলেও আমি স্পষ্ট করছি।
সাইফুল মজিদ বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ৪২তম সভায় কোম্পানি আইন অনুযায়ী ১৯৯৬ সালে গ্রামীণ কল্যাণ গঠিত হয়। আর্টিকেলস অব অ্যাসোসিয়েশনের ৪৮ ধারা অনুযায়ী, গ্রামীণ ব্যাংক গ্রামীণ কল্যাণের চেয়ারম্যান মনোনীত করতে পারে। গ্রামীণ কল্যাণ প্রতিষ্ঠার সময় ড. ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংক থেকে নেন ৪৪৭ কোটি টাকা। গ্রামীণ টেলিকম প্রতিষ্ঠার সময় ড. ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংক থেকে ২৪ কোটি টাকা অনুদান নেন। কিন্তু গ্রামীণ টেলিকম এখন পর্যন্ত গ্রামীণ ব্যাংককে সুদ ও লভ্যাংশ বাবদ কোনো অর্থ প্রদান করেনি। গত ১২ ফেব্রুয়ারি গ্রামীণ ব্যাংকের ১৫৫তম পর্ষদ সভায় সাতটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ও নির্দিষ্ট সংখ্যক পরিচালককে মনোনীত করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণরূপে গ্রামীণ ব্যাংক কর্তৃক সৃষ্ট প্রতিষ্ঠানের আইন অনুযায়ী করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নূর মোহাম্মদ, গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালক মোহাম্মদ জুবায়েদ, আইন উপদেষ্টা মাসুদ আখতার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।