সম্প্রতি ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে একধিক মামলা চলচ্ছে।শুধু তাই নয় সরকারের পক্ষ থেকে নানা ধরনের বাজে মন্তব্য করা হচ্ছে তাকে নিয়ে।অথচ এই ব্যক্তির অবদান বাংলাদেশে একবারে কম নয় শুধু এটা না তিনি পৃথিবীর প্রথম সারির ব্যক্তিত্বদের মধ্যে একজন। যার মাধ্যমে বিশ্বে বাংলাদেশের মতো একটি ছোট দেশের নাম পরিচিতি পেয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সা/মাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ/কটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন বি/শিষ্ট সাংবাদিক গোলাম মোর্তজা হু/বহু পাঠকদের জন্য নি/চে দেওয়া হলো।
‘মানুষের হাতে হাতে মোবাইল ফোন, কে দিয়েছে এই ফোন?’ ভাইরাল বক্তব্যের লাইন।
বিএনপি নেতা মোর্শেদ খানের সিটিসেল তখন দানবীয় বাণিজ্য করছিল।১৯৯৭ সালে বাজারে এলো গ্রামীণ ফোন।তখন থেকেই মানুষের হাতে হাতে ফোন আসতে শুরু করল।গ্রামীণ ফোন বাজারে আসার আগেই বিচিত্রার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে ড.ইউনূস ‘পল্লী ফোন’র ধারণা দিয়েছিলেন।একথা শুনে অনেকেই হেসেছিলেন,বলে কী! সিটিসেলের একটি মোবাইল ফোনের দাম ছিল লাখ খানেক টাকা।ইনকামিংয়েও মিনিটে বিল ৫-৭ টাকা। টিএন্ডটির একটি ফোনের সংযোগ নিতে ১৮-২০ হাজার টাকা লাগত।তারচেয়েও বড় ব্যাপার ছিল, টাকা দিয়ে সংযোগ পাওয়া যেত না।দরকার হতো, ঘুষ-তদবির।
দুর্লভ মোবাইল ফোন থাকবে গ্রামীণ নারীদের হাতে? পাগল নাকি!!
বছরখানেকের মধ্যে যা সত্যি হয়েছিল।গ্রামীণ ফোনের বিনিয়োগ এদেশে এনেছিলেন ড. ইউনূস।গ্রামীণ ফোনের মালিকানা নরওয়ের টেলিনরের ৫৫.৮ শতাংশ এবং গ্রামীণ টেলিকমের ৩৪.২ শতাংশ।চুক্তি ছিল কয়েক বছর পরে ১০০ শতাংশ মালিকানা হবে গ্রামীণ টেলিকমের।আইনি মারপ্যাঁচে গ্রামীণ টেলিকম তা পায় নি।মামলা করেও হেরে গেছে।
গ্রামীণ টেলিকম গ্রামীণ নারীদের ‘পল্লী ফোন’ দিয়েছিল।গ্রাম থেকে শহরে আসা ও বিদেশে থাকা স্বামী-সন্তান-ভাইয়ের সঙ্গে এই প্রথম সরাসরি কথা বলার সুযোগ পান গ্রামের বাবা-মা আত্মীয় স্বজন।
সরকারের ভূমিকা তো আছেই।কিন্তু যিনি এই চিন্তা করলেন,যিনি বিনিয়োগ আনলেন,তার অবদান স্বীকার করতে হবে না?
তাহলে ‘কে দিয়েছেন এই ফোন’ প্রশ্নের উত্তর কী হবে?
সংযুক্তি:
‘ড. ইউনূসকে দেশের কোনো কাজে পাওয়া যায় না’ তার মানে এটা দেশের জন্যে কোনো কাজ না!
ইংল্যান্ডের একটি বিশ্ববিদ্যালয়র সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে দেশে আন্তর্জাতিক মানের একটি বিশাল নার্সিং ইনস্টিটিউট করেছেন।
এটা দেশের জন্যে কোনো কাজ না!
বছর বছর ১০-১৫ জন মোটর মেকানিককে ট্রেনিং দিয়ে ভাষা শিখিয়ে দক্ষ করে জাপানে পাঠাচ্ছেন।
এটা দেশের জন্যে কোনো কাজ না!
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে কিডনি ডায়ালাইসিস সেন্টারের জন্যে গ্রামীণ কল্যান থেকে ১০ কোটি টাকা দিয়েছেন।গরীবরা বিনামূল্যে বা সামান্য টাকায় ডায়ালাইসিস করতে পারছেন।
এটা দেশের জন্যে কোনো কাজ না!