গণঅধিকার পরিষদের একাংশের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস এই মাটির পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সন্তান। তার বিরুদ্ধে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র মেনে নেওয়া হবে না।
মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
রেজা কিবরিয়া বলেন, ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস সারা বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে তুলে ধরছেন, দেশের মুখ উজ্জ্বল করছেন, দেশের খ্যাতি ও সম্মান বয়ে আনছেন- আর ওনাকে প্রতিনিয়ত অপমানিত করছে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা। তা এভাবে চলতে পারে না, আমি ড/ক্টর রেজা কিবরিয়া ব্যক্তিগত ও দ/লীয়ভাবে তা মেনে নিতে পারি না। আর তা মেনে নেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, ড. ইউনূস বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ এবং সবার কাছে শ্রদ্ধেয় ও গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি। তাই তার পরবর্তী সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হয়ে অনেক দেশি-বিদেশি পরাশক্তি তার পেছনে ষ/ড়যন্ত্র করছে। সাম্প্রদায়িক স্বৈ/রাচারী, একনায়কতান্ত্রিক, ফ্যাসিবাদী কিছু বামপন্থী পরাশক্তি আজ রাষ্ট্রের রোষানলের শিকার ইউনুস। এই ফ্যাসিবাদী, এ/কনায়কতান্ত্রিক, স্বৈরাচারী এবং সাম্প্রদায়িক বিদেশী আধিপত্যবাদী, সম্প্রসারণবাদী এবং আগ্রাসীরা চায় না ড. ইউনূস বাংলাদেশে ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার করবেন, একটি মানবিক ও জবাবদিহিমূলক বাংলাদেশ গড়ে তুলবেন। ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত, স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে বাংলাদেশের সামাজিক-রাষ্ট্র কাঠামো গড়ে তোলার পথপ্রদর্শক হোন।
ড. ইউনূস এ জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের একজন। আদালতকে ব্যবহার করে সরকারের বিরুদ্ধে আর্থিক অস্বচ্ছতার মিথ্যা অভিযোগে জাতি হিসেবে আমরা লজ্জিত, বিরক্ত ও শঙ্কিত। অথচ বর্তমান সরকারের চীনপন্থী, রুশপন্থী ও ভারতপন্থী ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে দেশের অর্থনীতিকে আজ ধস নামিয়ে দিয়েছে। আজ দেশের অর্থনীতি ভঙ্গুর।’
তিনি আরও বলেন, কিছুদিন আগে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয় যে এস আলম গ্রুপ সরকারের ছত্রছায়ায় দেশ থেকে বিদেশে ১০ হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে। বিশেষ বিবেচনায় ২২ হাজার কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ নিয়ে দেশের অর্থনীতিতে ধস নেমেছে বেক্সিমকো গ্রুপ। কিন্তু এসবের বিরুদ্ধে কোনো তদন্ত হয় না, বিচার হয় না, দোষীদের গ্রেপ্তার হয় না। আর আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, দেশের আদালত এসব লু/টপাটের ঘটনা সম্পর্কে অবগত থাকলেও এর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। সরকারের ইচ্ছায় আদালত কোনো ব্যবস্থা নেবে না।
রেজা কিবরিয়া আরও বলেন, এমন একজন খ্যাতিমান বিশিষ্ট ব্যক্তিকে হয়রানি বন্ধ করুন, মামলা মোকদ্দমা বন্ধ করুন, অন্যথায় ইউনূসের সম্মান রক্ষায় গণআন্দোলন করা হবে।