আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে সকল রানৈতিক দলগুলো যে যার মতো প্রস্তুতি গ্রহন করছে। দেশের বিভিন্ন এলাকায় সংবাদ সম্মেলন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এছাড়া পন্মা সেতু নিয়েও আওয়ামী লীগ ( Awami League ) ও বিএনপি ( BNP ) নেতাদের মধ্যে নানা বিতর্কিত বক্তব্যও লক্ষ্য কারা যায় সংবাদ মাধ্যমে। এছাড়া আওয়ামী লীগ ( Awami League ) নেত্রী ও বিএনপি ( BNP ) নেত্রীকে নিয়েও পূর্বে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন বিষয় নিয়েও দোষরোপ করছেন এক দল অন্য দলের। সম্প্রতি এমনি একটি বিষয় নিয়ে দুই দলের মধ্যে সৃষ্টি হয় বিবাদ।
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সংবাদ সম্মেলন করতে গিয়ে ছাত্রলীগের ( Chhatra League ) নেতা-কর্মীদের হা//মলার শিকার হয়েছেন ছাত্রদলের নেতা কর্মীরা। এরপর শহীদুল্লাহ হলের সামনে ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। হামলা ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার একপর্যায়ে ছাত্রদলের দুই নেতাকর্মীকে শহীদুল্লাহ হলের ড্রেনে ফেলে বেদমভেবে প্রহার করতে দেখা যায়। এমনকি আ//হতদের মধ্যে একজনকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে রিকশা থেকে ঠেলে ফেলার অভিযোগ রয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকা মহানগর ( Dhaka metropolis ) পূর্ব ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ( Minhazul Abedin Nannu ) ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কর্মী আল আমিন বাবলুকে শহীদুল্লাহ হলের ড্রেনে ফেলে দিতে দেখা যায়। প্রহারের পর তাদের রিকশায় তুলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ( Dhaka Medical College Hospital ) পাঠানো হয়। একপর্যায়ে মিনহাজুলকেও ( Minhazul ) রিকশা থেকে বের করে দেয়। পরে অবশ্য মিনহাজুলকে রিকশায় ঢাকা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভুক্তভোগি নেতা-কর্মীদের চিকিৎসা তদারকি করছেন ছাত্রদলের সিনিয়র নেতারা। সেখানে কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রাকিবুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, আমি, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহিয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আখতার হোসেন ও সদস্য সচিব আমানুল্লাহ আমানসহ ৫ শতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে টিএসসি অভিমুখে মিছিল করছিলাম। এবং শ্রমিকরা। দুই দিন ধরে ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসে স//ন্ত্রাস চালাচ্ছে বলে আমরা মিছিলে কোনো স্লোগানও দিইনি। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দাঁড়িয়ে ছিল আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলি আমি বলি, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে যাচ্ছি, আমাদের অপরাধ কী?
রাকিবুল ইসলাম আরও জানান, বিনা উসকানিতে তারা হকি স্টিক, রড, চপার, লাঠিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের প্রহার করা শুরু করে। এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় নেতা রাশেদ ইকবাল খান ও আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহিয়াসহ অন্তত ৩০ নেতাকর্মী গুরুতর আ//হত হয়েছেন।
ছাত্রদল বলছে, শহীদ মিনারের সামনে হামলায় তাদের অন্তত ৩০ নেতাকর্মী আ//হত হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও শিক্ষার্থীরা জানান, হকি স্টিক, রড, চপার ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এ হা//মলা চালানো হয়। আ//হতদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মনসুরা আলমও রয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদের বক্তব্যের পর রোববার সন্ধ্যায় টিএসসি এলাকায় ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মীর ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
এ ঘটনার প্রতিবাদ ও সাইফ মাহমুদের বক্তব্য ব্যাখ্যা করতে আজ সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। সেখানে যাওয়ার পথে তাদের ওপর হামলা হয়। পরে শহীদুল্লাহ হলের সামনে দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন ছাত্রদলের ওপর হা//মলাকে ‘প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, রাজাকার ও সন্ত্রাসের পরিবেশকদের ছাত্রদল ছাত্রদল তাদের সহিংস সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ক্যাম্পাসের পরিবেশ বিপর্যস্ত করছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টা করলে ক্যাম্পাসের পরিবেশ রক্ষা ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপদ শিক্ষা নিশ্চিত করার স্বার্থে ছাত্রদলের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে সকল ধর্মের প্রগতিশীল শিক্ষার্থীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ জানায়।
শেখ হাসিনা খালেদা জিয়াকে হ//ত্যার হু//মকি দেওয়ার অভিযোগ তুলে রোববার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। সেখানে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ বলেন, শেখ হাসিনা আমাদের হৃদয়ে আঘাত করেছেন। সে আমাদের আদর্শিক মাকে অপমান করেছে তাই আমরা উত্তপ্ত। তার এমন বক্তব্যেই এই ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে বলে ধরনা করেছে অনেকেই।