মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরি টার্মিনালে পদ্মা নদীতে ১৭ টিরও বেশি ভারী ও হালকা যান ও কিছু যাত্রী নিয়ে রো-রো ফেরি আমানত শাহ ডুবে গেছে। আজ (বুধবার) সকাল ৯ টা ৪৫ মিনিটের দিকে ঐ ফেরিটি ৫ নম্বর টার্মিনালে ভেড়ানোর করার পর ঘটনাটি ঘটে, এমনটাই জনিয়েছেন কর্মকর্তারা। মালবাহী ট্রাক এবং কাভাট ভ্যানসহ ঐ ফেরিতে মোট ১৭টি যানবাহন ছিল বলে জানা যায়। ঘটনার ঠিক আগে অর্থাৎ জাহাজটি এক পাশে কাত হয়ে ডুবে যাওয়ার আগে মাত্র তিনটি গাড়ি নামতে সক্ষম হয়। কিন্তু অন্য সকল গাড়িগুলো ঐ ফেরির সাথে ডুবে যায়।
পরে ভাটিতে ঘাটের কয়েক শ মিটার দূরে তিন-চারটি কাভাটভ্যান স্রোতের তোড়ে নিয়ে যায়। এদিকে ফেরিতে থাকা একটি পণ্যবাহী ট্রাক ও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস ও উদ্ধারকারী বাহিনী।
ফেরিতে থাকা ট্রাকচালক মো. শাজাহান বলেন, তিনি সাতক্ষীরা থেকে টঙ্গীতে যাচ্ছিলেন। এ সময় দৌলতদিয়া ঘাট থেকে পাটুরিয়া আসার জন্য আমানত শাহ ফেরিতে রওয়ানা হন। পরে গাড়িতেই ড্রাইভিং সিটে ঘুমিয়ে পড়েন। হঠাৎ ফেরিতে তার পাশের গাড়ির চালক তুষারের ডাকে ঘুম ভাঙে তার। এ সময় ফেরির বেশির ভাগ অংশ ডুবে গেছে। তিনি গাড়ির মধ্যে থেকে হামাগুড়ি দিয়ে বের হন। পরে জ্ঞান হারান। সুস্থ হবার পরে দেখেন পন্টুনের ওপর তিনি।
ফায়ার সার্ভিসের কয়েকজন কর্মী জানান, ফেরিটি ডুবে গেলে সম্ভবত কয়েকটি ট্রাক স্রোতে ভাটিতে নিয়ে যায়। তারা আরো বলেন, এখন পর্য়ন্ত একটি ট্রাক ও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। আর কয়েকটি যানবাহন পানির মধ্যে কোথায় আছে তা সনাক্ত করা হয়েছে। তবে এখনো কোনো হ’তাহ’তের খবর পাওয়া যায়নি।
রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাট থেকে ফেরিটি আরিচা যাওয়ার পথে পাটুরিয়ায় ডুবে যায়। এ সময় বেশিরভাগ যাত্রীই সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হন। সেখানে ঐ সময় উপস্থিত ফেরিটার্মিনালের লোকজন দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান শুরু করে। স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাদের দুটি ডাইভিং ইউনিট এই মুহূর্তে কাজ করছে এবং ঢাকা থেকে আরও দুটি দল আসছে। উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে রয়েছে এবং উদ্ধার প্রচেষ্টায় যোগ দিয়েছে। তবে, কর্মকর্তারা নিশ্চিত নন যে ৬০-টন-ক্ষমতার উদ্ধারকারী জাহাজটি প্রায় ৪০০ টন ডুবে যাওয়া ফেরিটি আনতে সক্ষম হবে কিনা।