বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী দেশে শীত আসতে এখনও ১০ দিন বাকি। তবে দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে আগেই শীত পড়তে শুরু করেছে। তবে ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য স্থানে এখনো শীত অনুভূত হয়নি।
আবহাওয়া অধিদফতরের মতে, এই বছরের নভেম্বর ২০২২ সালের নভেম্বরের তুলনায় অনেক বেশি উষ্ণ ছিল। ডিসেম্বরে তাপমাত্রাও স্বাভাবিকের থেকে কিছুটা বেশি হতে পারে।
অন্যদিকে আবহাওয়াবিদরা বলছেন, শিগগিরই দেশের তাপমাত্রা দুই থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। এই মাসে, মাঝারি ঠান্ডা স্রোতের ঝুঁকিও রয়েছে।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’-এর প্রভাবে মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল থেকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আকাশ মেঘলা রয়েছে। সকালে ঢাকার কয়েকটি এলাকায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। দেশের অন্যান্য স্থানেও বৃষ্টি হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়টি আজ ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে যাচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. বজলুর রশীদ বলেন, আগামীকাল (বুধবার) বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে। তবে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে অপেক্ষাকৃত বেশি বৃষ্টি হতে পারে। রাজধানীতেও কিছুটা বৃষ্টি হতে পারে। এই মেঘলা আকাশ এবং বৃষ্টি পরিষ্কার হলেই তাপমাত্রা দুই থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। এতে ঠান্ডা বেশি অনুভূত হবে।
আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আজ সারাদেশে আকাশ কমবেশি মেঘলা থাকতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। বুধবার বৃষ্টি বাড়তে পারে।
আজ সকাল সাড়ে ৭টায় জারি করা আবহাওয়া অধিদফতরের ১৯ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড়টি আরও উত্তর থেকে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়টি আজ সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। চট্টগ্রাম, মংলা, পায়রা সমুদ্রবন্দর ও কক্সবাজারকে ২ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
সোমবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সন্দ্বীপ ও সীতাকুণ্ডে ৩১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।