Thursday , November 14 2024
Breaking News
Home / Countrywide / ডিসি হয়েছে তাতে কী হইছে, এই প্রধান শিক্ষকের চাকরি না করলে কী হবে : সাংবাদিককে গালি দেওয়া সেই শিক্ষক

ডিসি হয়েছে তাতে কী হইছে, এই প্রধান শিক্ষকের চাকরি না করলে কী হবে : সাংবাদিককে গালি দেওয়া সেই শিক্ষক

সম্প্রতি স্কুলছাত্রীর সাথে অশালিন আচারন করেন এক শিক্ষক কিন্তু বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য চেষ্টা করেন ওই স্কুলের প্র্রধান শিক্ষক। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার এক পর্যায় সাংবাদিক প্রধান শিক্ষকের নিকট গেলে তিনি বিষয়টি বলতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে বিষয়টি নিয়ে গালিগালাজ করেন প্রধান শিক্ষক ওই সাংবাদিককে।সাংবাদিককে গালি দেওয়া সেই শিক্ষক এবার মামলা করতে চান ডিসির বিরুদ্ধে।

সাংবাদিককে গালি দেওয়া শরীয়তপুরের ডামুড্যা পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুজিত কর্মকার এবার জেলা প্রশাসক মো. পারভেজ হাসানের নামে মামলা করতে চান।

মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) সকাল থেকে প্রধান শিক্ষকের ১ মিনিট ৪০ সেকেন্ডের একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।

ভিডিওতে সুজিত কর্মকারকে বলতে শোনা যায়, ইউএনও অফিসে প্রায় শতাধিক লোকের সামনে ডিসি আমাকে অপমান করেছেন। আমি তার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করব। ডিসি হয়েছে তাতে কী হইছে? এই প্রধান শিক্ষকের চাকরি না করলে কী হবে? মামলা করার ব্যাপারে তার পাশে স্থানীয় সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক আছেন বলেও জানান তিনি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রথী কান্ত মিস্ত্রী ওই বিদ্যালয়ের কৃষি শিক্ষা ও স্কাউট বিভাগের সহকারী শিক্ষক। তিনি স্কাউটিং প্রশিক্ষণ দেন। তারই ধারাবাহিকতায় ১১ আগস্ট দুপুরে স্কাউটদের সাপ্তাহিক মিটিং ছিল। কোনো কারণ ছাড়াই রথিকান্ত সেই মিটিং বাতিল করে দেন। পরে গুরুত্বপূর্ণ কথা আছে বলে এক ছাত্রীকে স্কুলের তৃতীয় তলার একটি কক্ষে ডেকে নিয়ে যান। তারপর সেখানে ওই ছাত্রীর সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন রথিকান্ত মিস্ত্রী।

এ বিষয়ে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুজিত কর্মকারের কাছে গেলে তিনি বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। পরে স্থানীয় সাংবাদিক আশিকুর রহমান হৃদয় ও শাহাদাত হোসেন শিক্ষক রথিকান্তর মোবাইল নম্বরে কল দিলে রিসিভ করেননি। তাই ওই সাংবাদিকরা বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বিষয়টি জানতে প্রধান শিক্ষক সুজিত কর্মকারের কাছে যান। কিন্তু প্রধান শিক্ষক বিষয়টি সাংবাদিকদের বলতে রাজি হননি। তাই সাংবাদিকরা চলে আসেন।

পরে রাত ৯টার দিকে সাংবাদিক আশিকুর রহমান হৃদয়ের মোবাইল ফোনে প্রধান শিক্ষককে ফোন করেন। হৃহৃদয় কল রিসিভ করার সঙ্গে সঙ্গে তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন সুজিত কর্মকার। এ ছাড়া দুই সাংবাদিককে মারধরের হুমকিও দেন প্রধান শিক্ষক।এরপর তার এমন কথোপকথনের একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়।

প্রসঙ্গত, বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তার অডিও ফাঁস হওয়ায় বেশ আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। প্রধান শিক্ষকের এমন কর্মকান্ডে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে বিভিন্ন মহলে।

About Babu

Check Also

উপদেষ্টা পরিষদেই বৈষম্য

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আঞ্চলিক বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। ২৪ সদস্যের এই পরিষদে ১৩ জনই চট্টগ্রাম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *