বাংলাদেশের জাতীয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবরের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৫৭তম জন্মবার্ষীকি উদযাপিত হয়েছে গতকাল সারা দেশ ব্যাপী। আওয়ামীলীগ দল নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে দিনটি উদযাপন করে। এবং এই দলের নেতাকর্মীরা শেখ রাসেলকে নিয়ে নানা ধরনের স্মৃতিচারন করেছেন। পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানও জানিয়েছেন বেশ কিছু কথা।
শেখ রাসেল হ/ত্যা/কা/ণ্ড/কে ইতিহাসের জঘ/ন্য/ত/ম ঘটনা উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, ‘সবার কাছে শিশুরা আদরের। অথচ আমরা এমন একটা জাতি, শিশু শেখ রাসেলকে হ/ত্যা করলাম। এই নিষ্ঠুরতা মেনে নেওয়া যায় না। এই পাপবোধ আমাদের আজীবন বয়ে বেড়াতে হবে।’ সোমবার (১৮ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনইসি সম্মেলন কক্ষে শেখ রাসেল দিবস-২০২১-এ ‘শেখ রাসেল দীপ্ত জয়োল্লাস: অদম্য আত্মবিশ্বাস’ বিষয়ক এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
১৫ আগস্ট ও কারবালা আমাদের কাছে লজ্জার মন্তব্য করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘চট্টগ্রামের ডিসি থাকার সময় শেখ রাসেল হ/ত্যা/র প্রতিবাদ করেছিলাম। পেপারে এই নিউজ বড় করে ছাপা হয়। এরপর আমাকে রাতারাতি চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় বদলি করা হয়। স্ত্রীকে চট্টগ্রামে রেখে আমি একা ঢাকায় চলে আসি। ওই সময় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবের কাছে আমাকে জবাবদিহি করা হয়। আমি তো রাজনীতিবিদ নই, আমলা হয়ে কেনই বা এমন কথা বললাম তার জবাব চাওয়া হয়। কেবিনেট সচিব আমাকে বলেন, তুমি কী নেতা হয়ে গেছো।’
তিনি বলেন, ‘শেখ রাসেল আমার চেয়ে ২০-২৫ বছরের ছোট। এক অদম্য প্রাণ। রাসেল আমাদের জন্য অনেক অবদান রাখতে পারতো, অথচ তাকে নির্ম/ম/ভাবে হ/ত্যা করা হলো। এটা অনেক লজ্জার ও ঘৃণার। বাঙালি নামটি সামনে এলেই এই ঘৃণা আমাদের সামনে ভেসে ওঠে। রাজনৈতিক হ/ত্যা/কা/ণ্ড আমরা ইতিহাসে দেখেছি, তবে ১৫ আগস্টের মতো এমন জ/ঘ/ন্য ঘটনা দেখিনি। এই পাপবোধ আমাদের আজীবন বয়ে বেড়াতে হবে। অথচ এই ঘা/ত/কে/রা নাকি উচ্চশিক্ষিত, উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা ছিল।’
১৯৭৫ সালে সপরিবারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে হ/ত্যা করে ঘা/ত/ক দল। শেখ রাসেলও রেহাই পায়নি ঘাত/ক/দে/র হাতে থেকে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এক নি/র্ম/ম ঘটনা। ঐ ঘটনার অনেককেই গ্রে/ফ/তা/র করে শাস্তির সম্মুখীন করেছে বর্তমান সরকার।