নুসরাত ফারিয়ার পেশাদার চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার আট বছরের। কলকাতায় তার মুক্তিপ্রাপ্ত শেষ ছবি ছিল ‘বিবাহ অভিযান ২’। এরই মধ্যে ঢাকার প্রেক্ষাগৃহে ‘সুড়ঙ্গ’ মুক্তি পেয়েছে, যেখানে তাকে ‘ও ট্যাকা তুই কলিজা আর জান’-এর মতো একটি আইটেম গান করতে দেখা গেছে। এ ছাড়া চরকিতে ‘পাতালঘর’ নামে একটি ওয়েব ফিল্ম মুক্তি পেয়েছে, যাতে নুসরাত ফারিয়াকে একেবারেই ভিন্ন রূ/পে পেয়েছেন দর্শকদের।
তবে নুসরাত ফারিয়ারের কাজ কলকাতার ইন্ডাস্ট্রির তুলনায় ঢাকার ইন্ডাস্ট্রিতে কম। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশের ডিরেক্টররা আমাকে নিয়ে ভাবেন কম। তারা ভাবতে পারে, ওহ আচ্ছা সে খুব সুন্দরী।তাকে মনে হয় ভাঙা যাবে না। আমার মনে হয় নূর ইমরান মিঠু ‘পাতালঘর’-এ করেছেন। “পাতালঘর” থেকে আমি যে ধরনের ভালবাসা পেয়েছি বা সাড়া দিয়েছি তা সত্যিই আলাদা ছিল। আমার খুব ভালো লাগার।
২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাস শুরু হয়েছে। বছরের এই কয়েক মাসে নুসরাত ফারিয়া চলচ্চিত্র, ওয়েব ফিল্ম, নতুন গান এবং ওয়েব সিরিজ ও চলচ্চিত্রে অতিথি চরিত্রে ছিলেন। পেশাগতভাবে এই বছরটি ফারিয়ার জন্য খুবই ভালো, তবে ব্যক্তিগতভাবে এটি দুঃখজনক বলে ম/নে করছেন তিনি।
ফারিয়া বলেন, ‘পেশাগতভাবে এ বছরটা আমার কাছে যতটা সুন্দর, ব্যাক্তিগত ভাবে ততটাই স্যাড। কারণ, বছরের শুরুতে জি-ফাইভে মুক্তি পায় ‘ভয়’। কলকাতার প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে ‘বিয়ের অভিযান ২’ ছবিটি। এসভিএফ -এর “বুঝি না তো তাই” শিরোনামের গান, চরকির “কলিজা আর জান” এবং “আবার প্রলয়” ওয়েব সিরিজের “মেনকা” গান।
চরকির ‘পাতালঘর’ আগেই বলেছি। বছরের সেপ্টেম্বর চলছে, ইতিমধ্যে আমার ছয়টি কনটেন্ট প্রকাশিত হয়েছে। সামনে আরও, পুজোতে কলকাতায় মুক্তি পাবে “রকস্টার”। ‘মুজিব’ও আসবে এ বছর। এগুলো ছাড়াও আরও একটি গান প্রকাশ হবে। অনেক কিছু আ/সছে। আমি আমার সময় উপভোগ করছি। অনেক বছর ধরে আমি পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করতে চেয়েছিলাম, যা আমার সাথে যায়। আমি মনে করি একজন নারী অভিনেতাকে সঠিকভাবে ক্যারিয়ার গড়তে যে ধরনের কাজ করতে হয়, এখন তা পাচ্ছি।’