দুজনে ভালোবাসার মাধ্যমে একটি সুন্দর দাম্পত্য জীবন গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ২০১৯ সালের ১৯ জুন, জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরাত জাহান সকল ধরনের আলোচনা উপেক্ষা করে সুদূর তুরস্কে গিয়েসফল ব্যবসায়ী নিখিল জৈনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। কিন্তু তাদের দাম্পত্য জীবন বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। মাত্র দেড় বছর পার হওয়ার পর তা ভেঙে যায়। এরপর ভারতের আলিপুর আদালত গত ১৭ নভেম্বর ‘অ্যানালমেন্ট অফ ম্যারেজ’ নিয়ে তার সাবেক স্বামী নিখিল জৈনের দায়ের করা মা’মলার রায় প্রদান করেন।
সেখানে আদালত বলেন, নুসরাত-নিখিলের বিয়ে বৈধ নয়। চলতি বছরের শুরু থেকে নুসরাত-নিখিলের বিয়ে নিয়ে যে বিত’র্ক শুরু হয়েছিল, সেটা আদালতের এই রায় দেওয়ার পর কিছুটা হলেও কমেছে।
পাকাপাকিভাবে বিচ্ছেদের পর প্রথমবার নুসরাতের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুললেন নিখিল। এক সাক্ষাতকারে বলেন, ‘আমার ও নুসরাতের সম্পর্ক নেই ঠিকই, কিন্তু নুসরাতকে আমি এখনও ভালোবাসি।’ তবে নিখিল জানান, যে নুসরাতকে তিনি ভালোবেসেছিলেন সেই নুসরাত আজও তার মনে। কিন্তু এখনকার নুসরাতকে তিনি কোনোভাবেই চেনেন না।
তুরস্কে ‘বিয়ে’ শেষে কলকাতার পাঁচতারা হোটেলে বসেছিল জুটির রিসেপশনের আসর, সেখানে হাজির ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণের সময়ও শাঁখা-সিঁদুরে সেজে নুসরাত জাহান জৈন বলেই নিজের পরিচয় দিয়েছিলেন।
নুসরাত এখন যশ দাশগুপ্তের সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন। ছেলে ঈশানকে নিয়ে থাকছেন যশের কাছেই। নিখিলের কথায়, ‘ও ভালো থাকুক সবসময় চাই, ও অন্যের সঙ্গে থেকেছে, ওদের সন্তান হয়েছে, আমি তো কোনোদিনই কিছু বলিনি।’ ব্যবসায়ী নিখিল এখন মডেলও। তাই অতীত ভুলে এখন সামনে এগিয়ে যাওয়ায়ই লক্ষ্য নিখিলের।
উল্লেখ্য, নুসরাতকে বাংলা ছবি ‘এসওএস কলকাতা’-তে যশ দাশগুপ্তের বিপরীতে অভিনয় করেন, যার শুটিং ২০২০ সালের আগস্টে শুরু হয়েছিল। নিখিল ধারনা করেছিলেন সেখান থেকেই তার জীবন থেকে সরে যেতে থাকেন নুসরাত। গত বছরের ৫ নভেম্বর নুসরাত তার ব্যক্তিগত জিনিসপত্র সহ নিখিলের ফ্ল্যাট ছেড়ে তার বালিগঞ্জের ফ্ল্যাটে চলে গিয়েছিলেন। এরপর তারা কখনও স্বামী-স্ত্রী হিসাবে একসাথে থাকেননি বলে জানান নিখিল। নিখিল নুসরাতের বিরুদ্ধে গত ৪ মার্চ তাদের বিবাহ বাতিলের জন্য একটি দেওয়ানী মামলা দায়ের করেন।
খবর হিন্দুস্থান টাইমসের।