সম্প্রতি দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর, আবার হয়তো পুরনো খাতা খুলছেন আমির খান। জন্মদনের পার্টিতে প্রথম স্ত্রীকে দেখে ভক্তদের তেমনই প্রত্যাশা। বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যম কর্মীরা ছিলেন বেশ কৌতুহলী। পরিশেষে ভক্তদের মতই জল্পনা কল্পনা ছাড়া গণমাধ্যমকর্মীরা তেমন কোন সাক্ষাৎকার পাননি। বিচ্ছেদের পর এই প্রথম আমিরের জন্মদিনে আসলেন, প্রথম স্ত্রী রিনা। আমির ভক্তরা বলেছেন, এই বলিউড অভিনেতার জীবন কখনই সাদামাটা ছিলনা, সবসময় ছিল সিনেমার মতোই রঙিন।
সোমবার ছিল আমিরের ৫৭তম জন্মদিন। এদিন আমিরের বাড়িতে বসেছিল চান্দের হাট। তবে তার প্রথম স্ত্রী রীনা দত্ত সবচেয়ে বেশি নজর কাড়েন। এদিন আমির খানের ( Aamir Khan ) জন্মদিনে রীনাকে বাড়িতে আসতে দেখা যায়। সঙ্গে ছিলেন তার মা। সেই ছবি ক্যামেরায় ধরা পড়ে। তবে আবারো ঘনিষ্ঠ হচ্ছেন আমির-রীনা।কয়েকদিন আগে আমির খান তার দ্বিতীয় স্ত্রী কিরণ রাও থেকে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন। এরপর থেকেই আমিরের নতুন প্রেম নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। এরই মধ্যে আমিরের জন্মদিনে রীনা দত্তের ( Reena Dutt ) আগমন নিয়ে আরও একটি জল্পনা বাড়ছে। আমির ও রীনার সম্পর্ক নিয়ে, ভক্তদের মধ্যে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে আমির খান বলেছিলেন, যে তিনি তার প্রথম স্ত্রী রীনা দত্তকে সঠিক সময় দেন নি। এমনকি তার মেয়ে ইরার বয়স এখন ২৩ বছর। সেই মেয়ে ও প্রথম ছেলে জুনায়েদকে ছোটবেলায় তাদেরকে সময় দিতে পারেননি তিনি। রীনা একাই সব সামলাইছে। এই সাক্ষাৎকারে তিনি তার দ্বিতীয় স্ত্রী কিরণ ও ২য় ছেলে আজাদ সম্পর্কে কিছু বলেন নি। বোঝাই যাচ্ছে প্রথম স্ত্রীর জন্য আবারও কাঁদছেন অভিনেতা আমির খান। মাত্র ২০ বছর বয়সে আমিরের প্রেমে পড়েন রিনা।
রক্ত দিয়ে প্রেমপত্র লিখেছেন আমির খানকে। ১৯৮৬ সালে তাদের বিয়ে হয়। এরপর দুই সন্তানের জন্ম হয়। আমিরের ক্যারিয়ারে সাফল্য। কিন্তু ১৫ বছর পর তারা আলাদা হয়ে যায়। আমিরের জীবনে কিরণ রাওয়ের নতুন প্রেম, ছবির সূত্র ধরেই এই জুটির প্রেম। কিন্তু বিচ্ছেদের পরও রীনা দত্ত সবসময়ই বন্ধুর মতোই ছিলেন। তিনি কখনো আমিরকে দোষারোপ করেন নি। যদিও এর আগে কখনও জন্মদিনের পার্টিতে যান নি রীনা দত্ত। কিন্তু আমির-কিরণের বিচ্ছেদের পর কি এই ঘনিষ্ঠতা?
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ একযুগ পর প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে আবার এক হবেন কিনা, এটা নিয়ে এখনো কোন আলোচনা করেননি আমির খান। তারপর ১১ বছর পর আমিরের জন্মদিনের পার্টিতে রিনাকে দেখে, কিছুটা চমকিত হয়েছিলেন ভক্তরা। ডিভোর্সের পর ও আমির খান ও রিনার মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় ছিল। সেজন্য অনেকেই বিষয়টিকে সাধারণভাবেই পর্যবেক্ষণ করেছেন।