রাজশাহীতে ডিবি পরিচয়ে একটি ছাগল চুরি করে পালানোর সময়ে হাতেনাতে পুলিশের ( police ) কাছে ধরা পরেছে দুই ব্যাক্তি। তাদের কাছে চুরি করা ছাগল ব্যাতিত আরো কিছু ভুয়া সরঞ্জমাদি উদ্ধার করেছে পুলিশ। আটকের পরে পুলিশ আটকৃত ব্যক্তিদের কাছে থাকা মোটরসাইকেলসহ ব্যাক্তিগত ( Private ) ব্যাবহৃত জিনিস গুলো পুলিশি হেফাজতে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। আটকৃত ব্যাক্তিদের আটকের পরে জব্দকৃত মালামালসহ তাদেরকে জেল হেফাজতে রাখা হয়েছে।
রাজশাহীতে মোটরসাইকেলে ডিবি পুলিশের ( police ) পরিচয় দিয়ে ছাগল চুরি করে পালিয়ে যাওয়ার সময় হাতকড়াসহ দুই প্রতারককে আটক করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে একজন সাংবাদিকের পরিচয়পত্রও পাওয়া গেছে। তাদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া ছাগল, হাতকড়া ও সাংবাদিক পরিচয়পত্র জব্দ করেছে পুলিশ। তাদের মোটরসাইকেল ও মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা হয়েছে। ওই মামলায় সোমবার দুপুরে ( Monday afternoon ) তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, রাজশাহী নগরীর শাহ মখদুম ( Shah Makhdum ) থানার বানতলা ( Bantala ) আবাসিক এলাকার মৃত নিজাম উদ্দিনের ( Nizam Uddin ) ছেলে রানা আহমেদ ( Rana Ahmed ) (৩৮) ও নওগাঁ ( Naogaon ) জেলার মান্দা থানার চক জামদাই গ্রামের মৃত আজিজের ছেলে শফিকুল ইসলাম ( Shafiqul Islam ) ওরফে শরিফুল ( Shariful ) (২৬)।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ জানায়, রোববার গভীর রাতে হারাগ্রাম কোর্ট স্টেশন মোড়ে যানবাহনে তল্লাশি চালানো হয়। এ সময় দুই মোটরসাইকেল আরোহীকে ছাগল নিয়ে চেকপোস্টের দিকে আসতে দেখে সন্দেহ হয়। পুলিশ মোটরসাইকেল আরোহীকে থামতে সংকেত দেয়। সংকেত পেয়ে মোটরসাইকেল থামিয়ে দেন চালক। পরিচয় জানতে চাইলে একজন নিজেকে ডিবি পুলিশের এসআই ও অন্যজন কনস্টেবল বলে পরিচয় দেন। কিন্তু কর্মক্ষেত্র ও ব্যাচ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তারা অস্বাভাবিক আচরণ করে। পরে মোটরসাইকেল আরোহী পকেট থেকে পরিচয়পত্র বের করে সাংবাদিক পরিচয় দেন। এতে পুলিশের সন্দেহ বাড়ে। পরে পুলিশ তাদের লাশ তল্লাশি করে চালক রানা আহমেদের কাছ থেকে এক জোড়া হাতকড়া উদ্ধার করে। পরে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
উল্লেখ্য, সংশ্লিষ্ট পুলিশ সুত্রে জানা যায় ঘটনার দিন গভির রাতে ঘটনাস্থলে তল্লাশি চলাকালীন সময়ে সন্দেহের বসপুর্তি হয়ে এই দুই ব্যাক্তি আটক করেছে পুলিশ সদস্যরা। চেকপোষ্টের দিকে ছাগল নিয়ে আসতে দেখেই পুলিশ তাদের পরিচয়, কর্মস্থলসহ নানাবিদ জিজ্ঞেসাবাদ করেন। তবে কোন প্রশ্নেরই যথাযথ সদউত্তর দিতে পারেনি। যার ফলে পুলিশের সন্দেহের মাত্রা আস্তে আস্তে আরো প্রখর হতে থাকে। পরে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে সারা রাত নানান ভাবে জিজ্ঞেসাবাদ করে।