সীতাকুন্ডে অগ্নিকান্ডে চট্রগ্রামসহ পুরো বাংলাদেশে থমতমে একটি পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সেখানের আ/গুন এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রনে আসেনি বলে জানা যায়। বিস্ফোরণ হওয়ার পূর্বেই শ্রমিকদের ছুটি হয়ে গিয়েছিলো। তানাহলে হতাহতের পরিমাণ অকল্পনীয়ভাবে আরো অনেক বেশি হতো। সম্প্রতি জানা গেল একটি খবর সেইটি হলো ডিপোর পকেট গেট তালাবদ্ধ করে পালান নিরাপত্তাকর্মী।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার বিস্ফোরণের আগে অগ্নিকাণ্ডের সময় ডিপোর পকেট গেট বন্ধ ছিল বলে অভিযোগ করেছেন কয়েকজন শ্রমিক। তারা জানান, নিরাপত্তারক্ষীরা ডিপোর দক্ষিণ পাশের পকেট গেটে তালা লাগিয়ে পালিয়ে যায়।
তারা জানান, আ/গুন ডিপোতে ছড়িয়ে পড়লে ডিপোর দক্ষিণ পাশের পকেট গেট দিয়ে ডিউটিতে থাকা শ্রমিকরা বের হওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু গেটের দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তারক্ষী বাইরে থেকে তালা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ায় অন্য কোনো কর্মী ভেতর থেকে বের হতে পারেননি।
ডিপোর ভেতরে আটকে পড়া শ্রমিকরা জানান, বিএম কন্টেইনার ডিপোর প্রধান ফটক ছিল ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে। ডিপোর দক্ষিণ পাশের মাঝখানে নিরাপত্তা দেয়ালসহ একটি ছোট পকেট গেট রয়েছে। এই গেট দিয়ে ডিপোতে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আবাসিক ভবনে খেতে যান। সকাল ৮-৯টা, দুপুর দেড়টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত এবং সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১১টা পর্যন্ত গেটগুলো খোলা থাকে।
শ্রমিকরা জানান, শনিবার রাতে ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের সময় বাহার উদ্দিন নামে এক নিরাপত্তারক্ষী গেটের দায়িত্বে ছিলেন। আগুন লাগার পর গেটের বাইরে তালা দিয়ে তিনি পালিয়ে যান এবং বিস্ফোরণের আগে শ্রমিকরা বের হওয়ার চেষ্টা করেও বের হতে পারেননি।
শ্রমিকরা পকেট গেট থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করলেও ভেতরে আটকে পড়েন। আরাফাত বলেন, দারোয়ান পালিয়ে যাওয়ায় ১৫০ থেকে ২০০ শ্রমিক পকেট গেট দিয়ে বের হতে পারেনি। পরে এটি বিস্ফোরিত হলে একটি উড়ন্ত কোণ তার পায়ে পড়ে।
রুম্মান মিয়া নামে আরেক শ্রমিক জানান, বিস্ফোরণের শব্দে গেটের দরজা বন্ধ হয়ে গেলে তারা বেরিয়ে আসেন। কিন্তু তারপর এটা খুব দেরি হয়ে গেছে।
প্রসঙ্গত, জীবনের কিছু কিছু সময় মানুষ এতটাই অসহায় পড়ে তখন মানুষের কোনো উপায় থাকেনা নিজেকে রক্ষা করার। কাপালে যদি দুর্ভোগ থাকে তাহলে জীবন আচিরেই ঢেকে যায় অন্ধকারাছন্নতায়। কে জানত যে তাদের জীবনের শেষ দিনটি আজই। নিরাপত্তাকর্মী যদি এমন ভুলটি না করতো তাহলে হয়তো হতাহতের সংখ্যা আরো অনেক কমে যেত।