ডিপজলকে ভালোবেসে ভক্তের কান্ড, উপহার দেখতে শত শত মানুষের ভীড়

বাংলাদেশের বিনোদন দুনিয়ার একজন জনপ্রিয় অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল। এছাড়াও তিনি প্রযোজক, লেখক, রাজনীতিবিদ এবং ব্যবসায়ী হিসেবেও পরিচিত। যিনি ভিলেন ও নায়কের চরিত্রে অভিনয় করে কোটি ভক্তের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন।

ভালোবেসে অভিনেতাদের উপহার দেন ভক্তরা। তবে এবার ডিপজলকে ব্যতিক্রমী এক উপহার দিতে চান এক ভক্ত।

সেই ভক্ত হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের মীরহাটি এলাকার আসবাবপত্র ব্যবসায়ী দুলাল মিয়া।

২০০৮ সালে ডিপজল অভিনীত ‘দাদিমা’ সিনেমা দেখে অভিনেতার প্রতি ভালোবাসা জাগে তার। এরপর থেকে তিনি নিয়মিত ডিপজলের সিনেমা দেখা শুরু করেন। মিরহাটি এলাকার আব্দুর সাত্তার মিয়ার ছেলে এই দুলাল মিয়া নিজের অজান্তেই ডিপজলের ভক্ত হয়ে ওঠেন। সেই ভালোবাসা থেকে ডিপজলের জন্য বানালেন ২৫ লাখ টাকার নান্দনিক কারুকার্য খচিত একটি রাজকীয় খাট। ডিপজলের এই ভক্তের খাট তৈরির খবর ছড়িয়ে পড়লে উৎসুক মানুষ তার দোকানে ভিড় জমাচ্ছেন।

জানা গেছে, ডিপজলকে ভালোবাসে তাকে উপহার দিতে তিন বছর আট মাসে নিজের নিপুণ কৌশলে এই বিশাল খাট তৈরি করেন তিনি। খাটের দৈর্ঘ্য সাড়ে আট ফুট এবং প্রস্থ সাড়ে ছয় ফুট। এটি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে আসল আকাশী কাঠ। এছাড়া ডিজাইনে ৩৮৭টি গোলাপ ফুলের নকশা এবং ৮০ টি নট বিভিন্ন অংশ সংযুক্ত করতে ব্যবহার করতে হয়। প্রতিদিন অনেক উৎসুক মানুষ দুলালের তৈরি খাট দেখতে আসেন। দুলালের ইচ্ছা- এই খাট উপহার হিসেবে গ্রহণ করবেন চলচ্চিত্র অভিনেতা ডিপজল।

দুলালের বড় ভাই মোহাম্মদ হুমায়ুন বলেন, “আমার ছোটভাই দীর্ঘ তিন বছর ৮ মাসে এ খাট ডিপজলের জন্য তৈরি করেছেন। সে খাটটি অনেক শখ করে বানিয়েছেন। এ খাটের উছিলায় যেন ডিপজলের সঙ্গে দুলালের দেখা হয় এবং খাটটি যেন তিনি উপহার হিসেবে গ্রহণ করেন।”

আসবাবপত্র ব্যবসায়ী দুলাল বলেন, যদিও অভিনেতা ডিপজলের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেননি, তবুও তিনি ডিপজলকে তার প্রতি ভালোবাসায় চাচা বলে ডাকেন।

তিনি বলেন, ডিপজল চাচার প্রতি ভালোবাসা থাকায় নিজ হাতে তৈরি করে তাকে ভিন্ন কিছু উপহার দিতে চেয়েছিলেন। তিন বছর আট মাস পর তাজমহলের নকশায় খাট তৈরি করলাম। ডিপজল মামা যদি আমার দেওয়া এই ছোট্ট উপহারটি গ্রহণ করেন এবং আমাকে দেখা করার সুযোগ দেন, তাহলে জীবন ধন্য হবে।