Thursday , December 26 2024
Breaking News
Home / Countrywide / ডিএমপির থেকে মহাসমাবেশের অনুমতি পেল ইসলামী আন্দোলন, তবুও রয়েছে বাঁধা

ডিএমপির থেকে মহাসমাবেশের অনুমতি পেল ইসলামী আন্দোলন, তবুও রয়েছে বাঁধা

ঢাকায় গণসমাবেশের অনুমতি পেয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। তবে এ মামলায় ২০টি শর্ত আরোপ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

বুধবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ডিএমপির এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলটিকে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে ডিএমপি।

এর আগে জাতীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন ও  সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতির প্রবর্তন ও নির্বাচন কমিশন বাতিলের দাবিতে গত শুক্রবার বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ চত্বরে ছাত্র-যুব সমাবেশে ৩ নভেম্বর রাজধানীতে গণসমাবেশের ঘোষণা দেন দলটির আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম।

ডিএমপির বেধে দেওয়া ২০ শর্ত হলো-

১. এই অনুমতিপত্র স্থান ব্যবহারের অনুমতি নয়, স্থান ব্যবহারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে অনুমোদন নিতে হবে।

২. স্থান ব্যবহারের অনুমতিপত্রে উল্লেখিত শর্তাবলী যথাযথভাবে পালন করতে হবে।

৩. অনুমোদিত স্থানের মধ্যেই সমাবেশের যাবতীয় কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।

৪. নিরাপত্তার জন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক (দৃশ্যমান আইডি কার্ডসহ) নিয়োগ করতে হবে।

৫. নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সমাবেশে আগতদের হ্যান্ড হেল্ড মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে (ভদ্রোচিতভাবে) চেকিং এর ব্যবস্থা করতে হবে।

৬. অনুমোদিত স্থানের বাইরে, রাস্তায় বা ফুটপাতে কোথাও লোক সমবেত করা যাবে না।

৭. আজান, নামাজ ও অন্যান্য ধর্মীয় সংবেদনশীল সময় মাইক/শব্দযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না।

৮. ধর্মীয় অনুভূতির উপর আঘাত আসতে পারে এমন কোন বিষয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন, বক্তব্য প্রদান বা প্রচার করা যাবে না।

৯. আদালত কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি সমাবেশে বক্তব্য প্রদান বা তার কোনো বক্তব্য সমাবেশে প্রচার করা যাবে না।

১০. সমাবেশ শুরুর ০২ (দুই) ঘণ্টা পূর্বে লোকজন সমবেত হওয়ার জন্য আসতে পারবে।

১১. অনুমোদিত সময়ের মধ্যে (১০.০০ ঘটিকা হতে ১৬.০০ ঘটিকা) সমাবেশ এর সার্বিক কার্যক্রম শেষ করতে হবে।

১২. পথের মধ্যে রাস্তার কোথাও কোনো সংক্ষিপ্ত সমাবেশ বা অবস্থান করা যাবে না।

১৩. মূল সড়কে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না।

১৪. রাষ্ট্র বিরোধী কোন কার্যকলাপ ও বক্তব্য প্রদান করা যাবে না।

১৫. আইন-শৃঙ্খলা পরিপন্থি ও জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কার্যকলাপ করা যাবে না।

১৬. উস্কানীমূলক কোন বক্তব্য প্রদান বা প্রচারপত্র বিলি করা যাবে না।

১৭. সমাবেশে ব্যানারের আড়ালে কোনো ধরনের লাঠি-সোটা বা রড সদৃশ কোন বস্তু ব্যবহার করা যাবে না।

১৮. আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ও কোনো বিরুপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে আয়োজনকারী কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবেন।

১৯. উল্লেখিত শর্তাবলী যথাযথভাবে পালন না করলে তাৎক্ষণিকভাবে এই অনুমতির আদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে।

২০. জনস্বার্থে কর্তৃপক্ষ কোনো কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে এই অনুমতি আদেশ বাতিল করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করেন।

About Nasimul Islam

Check Also

শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে নয়াদিল্লির জবাব, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পৌষ মাস নাকি সর্বনাশ?

ভারতে অবস্থানরত বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মন্তব্য করেছে। নয়াদিল্লি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *