একজন নিরীহ পথচারীকে নিষিদ্ধ দ্রব্যের মামলায় ফাঁসাতে গিয়ে মাহবুবুল আলম নামের পল্লবী থানায় দায়িত্বরত এএসআই সহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মাহবুবুল আলমের এই ধরনের দুষ্কৃতীর একটি ভিডিও প্রকাশ পাওয়ার পর তাকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের তিনজনকে আদালত জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করেছেন। আদালত চত্বরে এই ঘটনায় বেশ আলোচনার সৃষ্টি হয়।
রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর হাকিম আতাউল্লাহর আদালতে জামিন শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। অন্য আসামিরা হলেন- মো. রুবেল ও মোঃ সোহেল রানা।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আরেক পুলিশ সদস্য ক্যান্টনমেন্ট থানার উপপরিদর্শক মো. আনোয়ার হোসেন।
এ সময় উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগে গত ৮ সেপ্টেম্বর তিন আসামিকে দুই দিনের রিমা’ন্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, আসামি এএসআই মাহবুবুল আলম তার সোর্সের কাছ থেকে ইয়াবার প্যাকেট নিয়ে পথচারী খলিলুর রহমানের পকেটে ঢুকিয়ে দেয়। মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে পথচারীর বিরুদ্ধে পল্লবী থানায় নিষিদ্ধ দ্রব্যের বিষয়ে মামলা করেন। পরে পথচারীর পকেটে নিষিদ্ধ দ্রব্য ঢোকানোর ভিডিও বেসরকারি টেলিভিশনে প্রচার করা হয়। এরপর তাকে এ মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় পুলিশ।
খালিদ হাসান তন্ময় যিনি পল্লবী থানার উপ-পরিদর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, তিনি রাজধানী ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট থানায় এএসআই মাহবুবুল আলম সহ তিনজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি নিষিদ্ধ দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ সংশ্লিষ্ট আইনে দায়ের করা হয়েছে। একজন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পদস্থ সদস্য হয়ে তিনি কিভাবে এই ধরনের কাজ করলেন, এ বিষয় নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তার এ হেন অপরাধের কি ধরনের শাস্তি হতে পারে সে বিষয়ে প্রাথমিক কোনো কিছু জানা যায়নি।