সাম্প্রতিক সময়ে দেশ জুড়ে আলোচনায় রয়েছেন সদ্য পদত্যাগ করা প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের অশালীন বক্তব্য এবং একটি ফোনালাপের বিষয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিতর্কিত বিষয়টি সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের অবগত করার পর মুরাদ হাসানকে পদত্যাগ করার জন্য নির্দেশ দেন। গতকাল প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া নির্দেশের পর তিনি আজ চট্টগ্রামে অবস্থান করে মন্ত্রীপরিষদের একজন প্রতিনিধির মাধ্যমে পদত্যাগপত্র জমা দেন। প্রতিমন্ত্রীর আলোচনা-সমালোচনা সৃষ্টি করা বক্তব্যের পর তিনি ক্ষমাও চেয়েছেন। এ বিষয় নিয়ে দেশের একটি সংবাদ মাধ্যমের সম্পাদক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন-
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হোসেনের ব্যাপারে সরকারের সুষ্পষ্ট বক্তব্য থাকা দরকার। এটি যে কেবল রুচিশীলতা, শ্লী’লতা-অশ্লী’লতার ব্যাপার তাই নয়।
সাধারণ নাগরিকের নিরাপত্তাবোধ, আইন শৃংখলারক্ষীবাহিনীর ভাবমূর্তি এবং সম্মানবোধের প্রশ্নও। সরকারের যে নিরবতা দেখাচ্ছেন ডা. মুরাদের প্রতি সেটা তাকে প্রশ্রয় দেওয়া হিসেবেই বিবেচিত হবে।
আবারও বলি, কোনো কার্যকর রাষ্ট্রে, শোভন সরকারের মন্ত্রিসভায় ডা. মুরাদরা কোনোভাবেই থাকতে পারে না।
লেখক : প্রকাশক ও সম্পাদক, নতুন দেশ ডটকম
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে তারেক রহমানের মেয়ে জাইমা রহমানকে নিয়ে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করেন মুরাদ হাসান। এছাড়া ফাঁস হওয়া ফোনালাপে অভিনেত্রীকে অকথ্য ভাষায় হুমকি দিতে শোনা গেছে। আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বলেছেন, প্রতিমন্ত্রীকে জড়িয়ে পরপর দুটি ঘটনা সরকার ও দলকে বিব্রত করেছে। বিএনপি নেতার মেয়েকে নিয়ে মন্তব্য করায় সমালোচিত হলেও মুরাদ হাসান রোববার রাতে একটি সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন যে তিনি তার মন্তব্য প্রত্যাহার করবেন না এবং তিনি কোনো ভুল করেননি।