একজন বিশিষ্টি চিত্রনায়িকার সাথে ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় মন্ত্রীসভা থেকে বহিস্কৃত সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের অবস্হান সম্পর্কে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো ধারণা নেই। দীর্ঘ ৭০ দিন যাবত তাঁর কোনো খোঁজ পাচ্ছেনা কেউ। নিজ বাড়ি ধানমন্ডিতে না থেকে অন্য কোথাও অবস্হান করছেন বলেই ধারণা করছেন অনেকে৷
গত ৬ জানুয়ারি মুরাদের স্ত্রী ডা. জাহানারা এহসান ধানমন্ডি থানায় একটি সাধারণ ডাইরি করেন। ঠিক ওইদিন থেকেই ডা. মুরাদ আর বাসায় ফেরেননি। আর তাই মুরাদের সঙ্গে কথা না বলে জিডির প্রতিবেদনও দিতে পারছেন না তদন্ত কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে জিডির তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানার উপ-পরিদর্শক রাজীব হাসান একান্তে বলেন, ‘জিডির তদন্ত শেষ করার নির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা নেই। তবে আমরা চেষ্টা করছি। এছাড়া বাদীপক্ষের সঙ্গে আমরা নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। বিষয়টি তাঁদের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক। আমরা ধারনা করছি তিনি (মুরাদ হাসান) তাঁর বোনের বাসায় অবস্থান করছেন। যেহেতু অভিযোগটি পারিবারিক তাই আমরা তেমন কোন পদক্ষেপ নিতে পারছি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা তদন্তের জন্য বার বার মুরাদ হাসানের বাসায় যাচ্ছি, কিন্তু দেখা মিলছে না। এমনকি তাঁর স্ত্রীও কোন খোঁজ দিতে পারছেন না। তাকে মেসেজ দেওয়া হয়েছে এই জিডি স্বপক্ষে যদি তাঁর কোনো বক্তব্য থাকে তিনি এসে দিতে পারেন। কিন্তু কোনো সাড়া আসেনি। আমাদের হাতে তাঁর নামে একটি নোটিশ রয়েছে। সেটি আমরা দেওয়ার অনেক চেষ্টা করেছি। কিন্তু সম্ভব হয়নি। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের দরকার আছে। জিডির তদন্ত শেষ করতে তাঁর বক্তব্য শোনার প্রয়োজন রয়েছে।’
ধানমন্ডি থানা সূত্রে জানা যায়, ডা. মুরাদের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী জিডি করলে ৯ জানুয়ারি পুলিশকে বিষয়টি তদন্তের অনুমতি দেন আদালত। এরপর থেকে একাধিকবার মুরাদের স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন তদন্ত কর্মকর্তা। এক পর্যায়ে জিডির তদন্ত স্বার্থে ডা. মুরাদকে খুঁজতে থাকে পুলিশ। কিন্তু গত আড়াই মাসে তার কোনো হদিস নেই।
আরও জানা যায়, গত আড়াই মাসে ডা. মুরাদের ধানমন্ডির বাসায় একাধিকবার তার খোঁজে যায় পুলিশ। বাসার লোকজন জানায়, সে (মুরাদ) এখনো বাসায় ফেরেননি। মোবাইলে একাধিকবার ফোন করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। এমনকি ডা. মুরাদের ফোনে এসএমএস দিয়েও তার কোনো উত্তর পায়নি পুলিশ।
উল্লেখ্য, চিত্রনায়িকার সাথে ফোনালাপ ফাঁসের পর বিতর্কের শিকার তথ্য প্রতিমন্ত্রী পরবর্তীতে বহিস্কারের শিকার হয়ে দেশের বাইরে কানাডায় অবস্হানের চেষ্টা করলেও সেখানকার প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতিবাদের মুখে ভিসা না পাওয়ায় পরবর্তীতে দেশে ফিরে আসতে বাধ্য হন ডা. মুরাদ।