বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ( Bangladesh Election Commission ) ইসি ( EC ) গঠন নিয়ে গত বেশ কিছুদিন ধরে নানা ধরনের আলোচনা সমালোচনা চলছিল দেশজুড়ে। তবে ইসি ( EC ) গঠনে কাজী হাবিবুল আউয়ালকে ( Kazi Habibul Awal ) প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দিয়ে গত শনিবার অর্থাৎ ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রজ্ঞাপন দেয়া হয়। এই সিদ্ধান্তে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ( Jafrullah Chowdhury ) দেয়া তালিকা থেকে নির্বাচিত করা হয় যার জন্য তিনি আনন্দও প্রকাশ করেন। বর্তমান সরকারকে এ প্রসঙ্গে ধন্যবাদ বার্তাও পাঠান ড. জাফরুল্লাহ ( Dr. Jafrullah ) চৌধুরী। তিনি বলেন, বিরোধী দলকে এ সিদ্ধান্ত মেনে নেয়ার জন্য আহ্বান জানাবেন।
তবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ( Mirza Fakhrul ) ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ( Jafrullah Chowdhury ) বক্তব্য বিএনপির ( BNP ) বক্তব্য নয়। আমাদের বক্তব্য খুবই স্পষ্ট। আমরা নতুন নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা রাখি না। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে।
সরকারের দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার কারণে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে সোমবার ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপির ( BNP ) এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে ততবারই জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। ঘরে ঘরে চাকরি দেবেন বলে জানান। চাকরি পেয়েছেন? সংবিধান লঙ্ঘন করে জনগণকে গোলাম করা হয়েছে। দেশে আজ অনেক টিভি চ্যানেল আছে, কিন্তু কথা বলার স্বাধীনতা নেই।
সমাবেশে মির্জা ফখরুল ( Mirza Fakhrul ) নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির নিন্দা জানান। তিনি বলেন, চাল, ডাল ও তেলের দাম কমানোর এখনো সময় আছে। তিনি জনগণের দাবি মেনে নিয়েছেন।
তিনি বলেন, কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না। আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি কারণ আমরা এমন একটি দেশ গড়তে চেয়েছিলাম যেখানে কোনো বিভাজন থাকবে না। সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে বাংলাদেশকে ধ্বংস করছে। শুধু নিজেরাই ধনী হচ্ছে। তারা নিজেদের পকেট ভারী করছে, বিদেশে টাকা পাচার করছে। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ডা. জাফরুল্লাহকে বিএনপির ( BNP ) উপদেষ্টা মনে করেন বিভিন্ন দলের রাজনীতিবিদেরা। তবে ইসি ( EC ) গঠনকে কেন্দ্র করে নানা বক্তব্যের মাধ্যমে এ বিষয়টিকে ভুল প্রমাণ করেন ডা. জাফরুল্লাহ। তিনি বিষয়টি স্পষ্ট করতে গিয়ে বলেন, আমি বিএনপির ( BNP ) কেউ নই।