বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেডা) সঙ্গে সমন্বয় করে মানি এক্সচেঞ্জ হাউসগুলোকে খোলা বাজারে ডলার বিক্রির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই ক্যাশ এক্সচেঞ্জ মার্কেটে ডলারের বিক্রির হার সর্বোচ্চ ১১৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাজারের ওপর ছেড়ে দেয়ার দাবি জানিয়েছে মানি এক্সচেঞ্জ অ্যাসোসিয়েশন। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, বাজারে স্থিতিশীলতা আনতেই এমন নির্দেশনা।
অস্থির ডলারের বাজার কখন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। খোলা বাজার, ব্যাংক বা বাংলাদেশ ব্যাংক কারো দরবারেই মিলছে না নির্দিষ্ট কোনো উত্তর। বর্তমান অবস্থায় অনেকটাই নতজানু হয়ে পড়ছে অর্থনীতিবিদদের পরামর্শ আর বিশ্লেষণের সব ফিকির। স্বস্থানে থাকতে পারছেন না তারাও।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দায়িত্ব নেওয়া বাফেডা প্রতিনিয়ত ডলারের দাম পুনর্নির্ধারণ করছে। সংস্থাটি সর্বশেষ রেমিট্যান্সের সর্বোচ্চ ডলার মূল্য নির্ধারণ করেছিল ১১৫ টাকা।
মানি এক্সচেঞ্জ অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার (১৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার কিনতে এক টাকা কমিয়ে ১১৫ টাকা ৫০ পয়সা এবং বিক্রির জন্য ১১৭ টাকা করেছে।
মানি চেঞ্জার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি একেএম ইসমাইল হক বলেন, এমন পরিস্থিতিতে যেকোনো ব্যাংক রেমিটেন্স ডলার কেনে ১১১ থেকে ১২৪ টাকায়। আর কেন্দ্রীয় ব্যাংক মানি এক্সচেঞ্জগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে মার্কিন মুদ্রার দর নতুন বাফার রেট দিয়ে সমন্বয় করতে। এ কারণে বাজারদরে ডলার বিক্রির দাবি সংশ্লিষ্টদের।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাহুল হক বলেন, দর নির্ধারণ করা হলেও বাজারে এর বাস্তবায়ন খুব কমই দেখা যাচ্ছে। মানি এক্সচেঞ্জ হাউসগুলো খোলা বাজারে তালিকার দামের চেয়ে সাত থেকে আট টাকা বেশি দামে বিক্রি করছে। এমন পরিস্থিতিতে ডলার নিয়ে নৈরাজ্য ঠেকাতে ব্যাংক ও খোলা বাজারে দর সমন্বয়ের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।