ব্যাংকগুলো ডলারের দাম সর্বনিম্ন ৫০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে সর্বোচ্চ ১ টাকা করেছে। এখন থেকে প্রতি ডলারের বিপরীতে রপ্তানিকারকরা পাবেন ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা এবং প্রবাসীরাও পাবেন প্রতি ডলারের বিপরীতে ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা। আমদানির বিপরীতে প্রতি ডলারের দাম হবে সর্বোচ্চ ১১০ টাকা।
আগামীকাল রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) থেকে এই নতুন হার কার্যকর হবে। গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফেডা) এবং অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ (এবিবি) এক বৈঠকে ডলারের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
নতুন এই সিদ্ধান্তে রপ্তানি ও রেমিটেন্সের ডলারের মূল্য একই পর্যায়ে নিয়ে আসা হয়েছে। এর আগে রপ্তানির তুলনায় রেমিটেন্সের ডলারের মূল্য বেশি ছিল।
দাম বৃদ্ধির কারণে আমদানিকারকদের ক্রেডিট লেটার খুলতে আগের চেয়ে বেশি টাকা খরচ করতে হবে, ফলে পণ্য আমদানির খরচ বেড়ে যাবে। এর আগে ব্যাংকগুলো সরকারিভাবে প্রবাসীদের প্রতি ডলারে ১০৯ টাকা এবং রপ্তানিকারকদের প্রতি ডলারে ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা দিত।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর গত বছরের মার্চ থেকে দেশে ডলার সংকট প্রকট হয়ে ওঠে। এ সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশ ব্যাংক শুরুতেই ডলারের দাম নির্ধারণ করে। এতে সংকট বাড়ে। পরে গত সেপ্টেম্বরে ডলারের দাম নির্ধারণের দায়িত্ব থেকে সরে আসে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এবিবি ও বাফেটাকে। এরপর থেকে রপ্তানি ও প্রত্যাবাসন আয় এবং আমদানি শুল্ক পরিশোধের জন্য দুই সংস্থা যৌথভাবে ডলারের দাম নির্ধারণ করে আসছে। মূলত এ দুটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করছে।