রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রলীগ নেত্রী সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেছেন ‘যেভাবে সাংবাদিকরা আমাদের পেছনে লেগে পড়ছে, হাঁটতেও ভয় লাগে। একটা যে লিপস্টিক দেব, সেটি দিতেও মনে হয় এখন ভয় হয় যে, লিপস্টিক দিলে বলবে যে, এই নেত্রীর টাকার উৎস কোথায়?
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১১টায় নিজের আইডি থেকে ফেসবুক লাইভে এসব কথা বলেন রবির মন্নুজান হল শাখার সাধারণ সম্পাদক ফারজানা আক্তার শশী।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে ছাত্রলীগ নেতা বলেন, তার মানে আমার বাবা-মা নেই? আমার বাবা-মায়ের লিপস্টিক কেনার সামর্থ্য নেই? তারা যদি কেজি স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে যেতে পারে, তারা কি লিপস্টিক কিনতে পারে না? এখন লিপস্টিক একটু বেশি হলেই তারা ব্র্যান্ড খুঁজবেন। কোন ব্র্যান্ডের লিপস্টিক দেয়? এটা কি ১০০০ টাকা নাকি ১২০০ টাকা?
প্রশাসনের উদ্দেশে ফারজানা বলেন, এই সরকারের আমলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো নিয়োগ হয়নি? রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-উপদেষ্টা, প্রক্টরিয়াল বডি, প্রক্টর, ভিসি, প্রো-ভিসি; আপনি সব আছে.
এসব (সাংবাদিকদের কাজ) নিয়ে কথা বলছেন না কেন? আপনি যদি আমাদের পক্ষে না থাকেন তাহলে আপনাকে আওয়ামী পরিষদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ শেখ হাসিনার ভুল সিদ্ধান্ত বলে মনে হয়।
এদিকে রোববার সকালে তার ফেসবুক আইডিতে ওই লাইভটি আর পাওয়া যায়নি।
প্রায় ৫ মিনিটের ওই লাইভে তিনি বলেন, ‘দল যখনই ক্ষমতায় থাকে, তারা (ছাত্র সংগঠন) একটু সুবিধা পায়। এটা স্বাভাবিক, এটা অস্বাভাবিক নয়। খালেদা জিয়া (ক্ষমতায়) থাকলে ছাত্রদলের বড় ভাইবোনেরাও কিছু সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতেন। এমনকি জামায়াতের কেউ (ক্ষমতায়) থাকলেও তারাও সুযোগ-সুবিধা ভোগ করত।’
লাইভে আসার বিষয়ে জানতে চাইলে ফারজানা শশী বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের ছাত্রলীগ নেতাদের নিয়ে সাংবাদিকরা বাড়াবাড়ি করে আসছেন। সাংবাদিকরা নিরপেক্ষভাবে সত্য তুলে ধরতে লাইভে আসুন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) রহমাতুন্নেছা হল ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না আক্তার তন্নির বিরুদ্ধে অবৈধভাবে দখলকৃত আসনটি খালি করার নির্দেশ দেওয়ায় হলের গেটে তালা লাগানোর অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে ১১ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব হলে ঐশী নামে এক ছাত্রলীগ নেত্রীর রুম সিলগালা করে হল প্রশাসন।