জন্মিলে প্রয়াত হতে হবে। প্রত্যেকটি প্রাণীরই প্রয়ানের স্বাদ গ্রহণ করিতে হইবে। কেউ প্রয়াতে হলে তাকে ধর্ম মতে করা হয় সৎকার। কালের বিবর্তনে বাংলাদেশের প্রয়াত হওয়া অনেক রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানকে দেওয়া হয়েছে দাফন। বিশেষ করে নিজ পৈত্রিক স্থানে মূলত দাফন দেওয়া হয়। তবে কোনো রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান প্রয়াত হলে তাদের দাফন ভবিষ্যতে জাতীয় সংসদ ভবন বা এর আশেপাশে দেওয়া হবে বলে জানা যায়।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ বলেছেন, ভবিষ্যতে জাতীয় সংসদ ভবন বা এর আশেপাশে কোনো বিশেষ স্থানে রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানকে দাফনের ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। তবে পরিস্থিতি বিবেচনা করে সরকারের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্ত সাপেক্ষে এটি করা হবে বলে জানান তিনি।
রোববার (১৯ জুন) একাদশ জাতীয় সংসদের ১৮তম অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে স্পিকার ড. এ সময় প্রশ্নকর্তা জানতে চান, ভবিষ্যতে সব রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানকে জাতীয় সংসদ ভবনে বা এর আশপাশের বিশেষ কোনো স্থানে দাফনের উদ্যোগ নেওয়া হবে কি না। না হলে এর কারণ কী?
জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্থপতি অধ্যাপক লুই আইকেনের মাস্টার প্ল্যান অনুযায়ী বাংলাদেশ সচিবালয়ের নকশা স্থাপত্য অধিদপ্তরের বিদ্যমান সাইটের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছে। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, দাফন যেখানেই দেওয়া হোক না কেনো প্রয়াত ব্যক্তির জন্য দোয়া করাটাই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। একদিন সবাইকেই প্রয়াত হতে হবে। রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানকে জাতীয় সংসদের আশেপাশে দাফন করা খুব ভালো একটি কাজ হবে বলে মনে করছেন অনেকে।