১৮ জন বন্ধু মিলে চট্টগ্রামের ঝরনা দেখতে গিয়েছিল। সবকিছুই ঠিকঠাক ছিল। আনন্দ উল্লাসে মেতেছিল তারা। তবে ফেরার পথে ঘটে গেল অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। মাইক্রোবাসের সাথে ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই ঝরে গেল ১১ প্রান। বেঁচে গিয়েছিল ৭ জন। তার মধ্যে কেউ কেউ শুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেও কেউ কেউ ছিলো হসপিটালে।
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে লেভেল ক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় বেঁচে যাওয়া মাইক্রোবাস যাত্রী আয়াতুল ইসলাম আয়াত (২০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
শুক্রবার (৫ আগস্ট) দুপুর দেড়টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃ/ ত্যু হয়।
চমেক হাসপাতালের আইসিইউ চিকিৎসক সহযোগী অধ্যাপক ডা. প্রণয় কুমার দত্ত তার মৃ/ ত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ নিয়ে ওই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১২।
ডাঃ প্রণয় কুমার দত্ত বলেন, “সোমবার (১ আগস্ট) বিকেলে চিকিৎসকরা আহত আয়াতুল ইসলাম আয়াতকে চমেক হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগ থেকে আইসিইউতে স্থানান্তর করেন। তার মাথায় আঘাত ছিল। তিনি বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছিলেন। আজ দুপুর দেড়টার দিকে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
আয়াত হাটহাজারীর চিকনদন্ডী ইউনিয়নের খন্দকিয়া পাড়ার আব্দুর শুক্কুরের ছেলে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ভয়াবহ দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া মাইক্রোবাসের আরো পাঁচ যাত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এছাড়া ইমন নামে একজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
গত ২৯ জুলাই চট্টগ্রামের মিরসরাই এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসের ১১ যাত্রী নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ছয়জন।
ওই মাইক্রোবাসে ১৮ যুবক খিয়াছড়া জলপ্রপাত দেখে ফিরছিলেন। ফেরার পথে মাইক্রোবাসটি লেভেল ক্রসিংয়ে পৌঁছালে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী ট্রেনটি মাইক্রোবাসটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই ১১ জন নিহত হন। আহতরা সবাই ‘আরএন্ডজে কোচিং সেন্টার’ নামে একটি কোচিং সেন্টারের ছাত্র ও শিক্ষক।
এই ঘটনায় লেভেল ক্রসিংয়ের দায়িত্বরত গেটম্যান কে দায়ী করেছিলেন স্থানীয়রা সহ ভুক্তভোগীদের পরিবার । এ ঘটনায় সেইভ গেটম্যান কে আটক করা হয়। এই ট্রেন দুর্ঘটনায় অনেকেই দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এছাড়া চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া আয়লের পরিবার ছেলের প্রণয়নে ভেঙে পড়েছেন। তাকে দেখতে গন মাধ্যম সহ অনেকেই হাসপাতলে উপস্থিত হয়েছেন ।