ট্রেন এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াতের জন্য খুব ভালো একটি বাহন। এই ট্রেনের আবিষ্কার করা হয় অন এক আগেই। বিশ্বের প্রায় সব দেশেই ট্রেন ব্যবস্থার প্রচলন রয়েছে। বাংলাদেশেও চলে ট্রেন। ট্রেনে চড়ে দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে মানুষ অনায়াসেই যাতায়াত করতে পারে। ট্রেনে যাতে কোনো ধরণের সমস্যার সৃষ্টি না হয় তার জন্য ট্রেনে নিয়োজিত থাকে পুলিশ সদস্য। সম্প্রতি জানা গেছে ট্রেন তল্লাশি নিয়ে বিজিবি-রেল পুলিশের সংঘর্ষ, হাসপাতালে ভর্তি তিন জন।
খুলনা-কলকাতা রুটে বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেনের তল্লাশিকে কেন্দ্র করে যশোরের বেনাপোলে বিজিবি ও রেলওয়ে পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় রেলওয়ের তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে ৪৯ বিজিবির কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাহেদ মো. মিনহাজ সিদ্দিকী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে একই দিন বিকেলে বেনাপোল রেলস্টেশনে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- ইন্তাজুল হক, মমিন ও সেতাফুর রহমান।
জানা যায়, রোববার বিকেলে ভারত থেকে আসা বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেনটি বেনাপোল স্টেশনে আসার পর বিজিবি সদস্যরা তল্লাশি করতে গেলে ছবি তোলা নিয়ে মমিন হোসেন নামে এক রেলওয়ে পুলিশের সঙ্গে তর্কাতর্কি হয়। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে রেলওয়ে পুলিশের তিন সদস্য আহত হন।
বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার সাইদুজ্জামান বলেন, কাস্টমস কর্মকর্তা ছাড়া ট্রেনে যাত্রীদের লাগেজ তল্লাশি করা যায় না, রেলওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে এমন বক্তব্য দেয়ার পর বিজিবি সদস্যরা অভদ্র আচরণ করে। পরে ২০ থেকে ২২ বিজিবি সদস্যের একটি দল এসে রেলওয়ে পুলিশের সদস্য মমিনকে তাদের গাড়িতে তুলে বিজিবি ক্যাম্পে নিয়ে যায়। পরে রেলওয়ে পুলিশ সদস্যদের তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় অন্য রেলওয়ে পুলিশ বাধা দিলে বিজিবি তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় মোমিনসহ তিনজন আহত হন।
আহতদের মধ্যে সেতাফুর রহমান ও মোঃ ইন্তাজুল হককে আহত অবস্থায় নাভারণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে রেলওয়ে পুলিশ মোমিনকে বিজিবির হেফাজতে থাকতে দেখা যায়।
৪৯ বিজিবির কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাহেদ মিনহাজ সিদ্দিকী বলেন, রোববার বিকেলে বিজিবি তল্লাশির সময় সাদা পোশাকের এক ব্যক্তি ভিডিও রেকর্ড করছিলেন। তাকে নিষেধ করলেও সে শোনেনি। এক পর্যায়ে তিনি তার পরিচয়পত্র দেখাতে পারেননি। এ নিয়ে তুচ্ছ ঘটনা ঘটে।
প্রসঙ্গত, ট্রেন ব্যবস্থার প্রচলন জীবনধারা অনেক সহজ ও আরামদায়ক করে তুলেছে। অন্যান্য যানবাহনের তুলনায় অনেক মানুষই ট্রেনে যাটায়াত করতে পছন্দ করে। খুলনা-কলকাতা রুটে বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেনে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি আসলেই খুব দুঃখজনক। যারা আইনরক্ষাকারী এবং জনগনের নিরাপত্তা প্রদানকারী তারাই যদি ঘটায় এমন লজ্জাজনক কাজ তাহলে জনগনের নিরাপত্তা হয়ে পড়ে অরক্ষিত।