রাজধানীর তেজগাঁওয়ে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে অ/গ্নিসংযোগের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি নিরপেক্ষ বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেন। মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে এক বিবৃতিতে তিনি এ দাবি জানান।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, “যারা আজ রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ট্রেনে আ/গুন লাগিয়ে চার যাত্রীর জীবন প্রদীপ নিভিয়ে দিয়েছে, নিঃসন্দেহে মানুষের নামের কলঙ্ক। বিশেষ কর্তৃপক্ষের যোগসাজশ ছাড়াই এ ধরনের মানবতাবিরোধী কাজ করা সম্ভব নয়,। চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলন থেকে জনসাধারণের দৃষ্টি সরানোর চক্রান্ত কিনা তা নিয়ে জনমনে গভীর সংশয় দেখা দিয়েছে। এটি একটি সুপরিকল্পিত না/শকতার ঘটনা। না/শকতাকারীরা দেশের শত্রু মানবতা, তারা মানবতাকে ধ্বং/স করতে চায়।
তিনি বলেন, এ ধরনের জঘন্য ও পৈশাচিক কাজ কেবল অবৈধ ও গণবিরোধী শক্তির সহায়তায় সম্ভব। এই ব/র্বরোচিত ও হৃদয়বিদারক ঘটনায় আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন, মর্মাহত ও তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা ঘটনার নিরপেক্ষ বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করছি।
তিনি আরও বলেন, আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির পক্ষ থেকে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে অ/গ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত দুর্বৃত্তদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। নি/হতদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) ভোর ৫টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের তিনটি বগিতে আ/গুন দেয় দুর্বৃত্তরা। একটি বগি থেকে মা ও শিশুসহ চারজনের ম/রদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা শাহজাহান সিকদার জানান, ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে আ/গুন লাগে। তেজগাঁও ফায়ার স্টেশনের তিনটি ইউনিট ৫টা ১২ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশের নজরদারিতে আ/গুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে আ/গুন নেভানো হয়।
এ সময় একটি বগি থেকে চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। লা/শের মধ্যে একজন শিশু, একজন নারী ও দুইজন পুরুষ রয়েছে। নি/হতদের মধ্যে দুজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- নাদিরা আক্তার পপি (৩৫) ও তার ৩ বছরের ছেলে ইয়াছিন। নাদিরার স্বামী কারওয়ান বাজারের হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ী বলে জানা গেছে। ঘটনার সময় নাদিরা আক্তারের ভাই ও আরেক ছেলে ট্রেনে ছিলেন। তারা ট্রেন থেকে নামল কিন্তু নাদিরা পারেনি। বাকি দুজনের পরিচয় জানা যায়নি।