বাড়ি ফেরার পথে ট্রেনে অজ্ঞান হয়ে পড়ে কলেজছাত্রী উষা রহমান। এ সময় ট্রেনে কর্তব্যরত রেলওয়ে পুলিশ মানবিক ভূমিকায় তার পাশে দাঁড়ায়। অচেতন কলেজ ছাত্রীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করার পর তারা তার স্বজনদের খবর দিয়ে তাদের কাছে হস্তান্তর করে।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।
কলেজ ছাত্রী উষা রহমান যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার সাইতখালী গ্রামের প্রবাসী হাবিবুর রহমানের মেয়ে ও খুলনা মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের ছাত্রী।
যশোর রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই শহিদুল ইসলাম জানান,উষা বুধবার বিকেলে মুমূর্ষু এক শিশুকে রক্ত দিয়ে খুলনা থেকে রাজশাহীগামী সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস ট্রেনে ওঠেন। ট্রেনটি নওয়াপাড়ার কাছাকাছি পৌঁছালে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। এ সময় ট্রেনে দায়িত্বরত রেলওয়ে পুলিশ তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে।
খবর পেয়ে এসআই শহিদুল যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল থেকে একটি অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে থানায় নারী সদস্যসহ পুলিশের একটি দল প্রস্তুত রাখেন। সন্ধ্যায় সাগরদানি এক্সপ্রেস যশোর জংশনে পৌঁছালেই অচেতন কলেজ ছাত্রীকে যশোর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর জ্ঞান ফেরে উষা।
এরপর তার পরিবারের খবর নিয়ে স্বজনদের ফোন করে পুলিশ। রাতে বাঘারপাড়া থেকে স্বজনরা এসে কলেজছাত্রী উষা রহমানকে পুলিশের কাছ থেকে বুঝে নেন।
উষার মা হামিদা রহমান জানান, বুধবার দুপুরে উষা খুলনায় মুমূর্ষু এক শিশুকে রক্ত দেয়। এরপর সে বাড়ি ফেরার জন্য ট্রেনে ওঠে। রক্ত দেওয়ায় শারীরিক দুর্বলতার কারণে অচেতন হয়ে যায়। সন্ধ্যায় পুলিশের মাধ্যমে খবর পেয়ে তাকে হাসপাতাল থেকে নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন তারা।
শহিদুল ইসলাম বলেন, মেয়েটিকে দাঁতকপাটি লাগা অচেতন অবস্থায় তারা পেয়েছিলেন। এরপর পুলিশের কর্তব্য বলে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করে স্বজনদের খবর দেন। পরে তাকে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।